26 C
আবহাওয়া
১০:১৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘আমাকে কে দেখবে, আমার সন্তানকে কে দেখবে’-নিহত মকবুলের স্ত্রীর প্রশ্ন

‘আমাকে কে দেখবে, আমার সন্তানকে কে দেখবে’-নিহত মকবুলের স্ত্রীর প্রশ্ন

নয়াপল্টনে সংঘর্ষে নিহত মকবুলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত মকবুল হোসেনের স্ত্রী হালিমা বেগম সন্তান মিথিলাকে নিয়ে যেন অথৈ সাগরে পড়েছে। ‘কে দেখবে তাকে, তার সন্তানকেই বা কে দেখবে’ তার এমন আর্তনাদে যেন ভারি হয়ে উঠছিলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত মকবুল হোসেনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্বজনরা জানান, জানাজা শেষে রাতেই মকুবলের লাশ পল্লবীর কালশী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এর আগে সকালে মকবুল হোসেনের স্ত্রী হালিমা বেগম তাঁর সন্তান শিশু মিথিলা ও স্বজনদের নিয়ে স্বামীর লাশ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মকবুলের শোকার্ত স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে যান। তখন হালিমা বেগম মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমাকে কে দেখবে, আমার সন্তানকে কে দেখবে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।’

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চিন্তা করবেন না, আমরা আপনাদের পাশে আছি, থাকব।’ সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে চলে যান বিএনপি মহাসচিব। দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে কিছু আর্থিক সহযোগিতাও করেন।

এসময় হালিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার স্বামী দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে, তাকে তো আর ফেরত পাব না। স্বামী হত্যার মামলা করবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হালিমা বেগম বলেন, ‘কার বিরুদ্ধে মামলা করব। মামলা কে চালাবে।

হালিমা বেগম বলেন, পল্টন থানার পুলিশ মকবুলের মুঠোফোনটি নিয়ে গেছে। সেই মুঠোফোনটি পুলিশের কাছে ফেরত চেয়েছিলাম, এতিম মিথিলার মুখের দিকে তাকিয়ে ফোনটি পুলিশ ফেরত দেবে বলে আশা করছিলাম। কারণ, এই ফোন দিয়ে পাওনা টাকার তাগাদা দিতেন মকবুল।

মকবুলের ভাই নুর হোসেন জানান, এমনিতেই আতঙ্কে আছেন তারা। মামলার বিচার তো আর পাব না। জানান, মকবুল তাঁর স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে পল্লবীর বাউনিয়াবাদ এ ব্লকে থাকতেন। মকবুলের লাশ সেখানে জানাজার পর কালশী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এ সময় মর্গে উপস্থিত মকবুলের একমাত্র সন্তান ছোট্ট মিথিলার চোখ ছলছল করছিল।

বিএনএ/আজিজুল, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ