বিএনএ চট্টগ্রাম: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমনের মাস রবিউল আউয়ালকে স্বাগত জানিয়ে নগরীতে র্যালি করেছে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরাম চট্টগ্রাম জেলা শাখা। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বাদ জুমা জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রবিউল আউয়াল মাসের কাৎপর্য তুলে ধরেন বক্তারা। আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার মহানগর সভাপতি আল্হাজ্ব মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্জুমানের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইকবাল রিসালপুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী, আন্জুমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী শহীদুল্লাহ। উদ্বোধক ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী তৌহিদুল কাদের চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী।
সে সময় বক্তারা বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) নতুন কোনো আচার উৎসব নয়। যুগ যুগ ধরে দেশে দেশে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) পালিত হয়ে আসছে। ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন ইসলামী নির্দেশনারই বাস্তবায়ন মাত্র। এতে আল্লাহর মেহেরবানি ও প্রিয়নবীর সন্তুষ্টি মেলে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি মুহাম্মদ ইকবাল রিসালপুরী বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন মানে মহানবীর (দ.) শুভাগমনের শোকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। যা ইসলামসম্মত সেরা উত্তম আমল।
সভাপতির বক্তব্যে বোরহান উদ্দিন বলেন, যারা ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও জশনে জুলুস পালনে বিরোধীতা করে তারা কৃতজ্ঞ উম্মত নয়। রাহমাতুল্লিল আলামিন দয়াল নবীজীর দুনিয়ায় শুভাগমনে আনন্দ খুশি উৎসব করার মধ্যে অশেষ ফায়দা, কল্যাণ ও পুণ্য নিহিত বলে জানান তিনি।
এছাড়াও সেখানে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাছেন। পরে বিশ্বশান্তি ও বিশ্বের নিপীড়িত মানবতার পরিত্রাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি