বিশ্ব ডিম দিবস আজ। ডিম দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘প্রতিদিন ডিম খাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্সেস অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা দিবসটি পালন করছে।
দিবসটি উপলক্ষে দেশে নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারে মতো বিশ্বব্যাপী ডিম দিবস পালন শুরু হয়।
১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক এগ কমিশনের কনফারেন্সে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উদ্দেশ্য হলো- ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত ডিম উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রতিবছরই বাড়ছে ডিমের উৎপাদন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৫৭৪.২৪ কোটি। ২০১৯-২০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ১৭৩৬ কোটিতে দাঁড়ায়। অর্থাৎ দশ বছরে দেশে ডিমের উৎপাদন প্রায় তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে। জনপ্রতি বছরে ১০৪টি ডিম হারে বর্তমানে জনপ্রতি পাওয়া ১০৪.২৩টি।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ বাস্তবায়নে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ২৭০মিলি, ১৫০গ্রাম এবং ১৬৫টি বছরে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে জনপ্রতি দুধ ৩০০ মিলি, মাংস ১৬০ গ্রাম ও ডিম ২০৮টি বছরে ধরা হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডিম উৎপাদনের একটি প্রাক্কলন করেছে। সে হিসাব অনুযায়ী ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন হবে প্রায় ৩২৯৩.৪ কোটি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৪৬৪৮.৮ কোটি।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ