31 C
আবহাওয়া
১২:০৬ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ধামরাইয়ে অনশনরত তরুণীকে প্রাণনাশের হুমকি

ধামরাইয়ে অনশনরত তরুণীকে প্রাণনাশের হুমকি

হুমকি

সাভার প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ে ছোট ভাইয়ের প্রেমিকা রাজিয়া আক্তারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কাওয়ালীপাড়া এলাকার শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে। প্রথমে রাজিয়া আক্তারকে বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রেমিক সুমন হোসেনকে ভুলে যেতে বলেন শামীম হোসেন। তাতে রাজি না হলে রাজিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় শামীম। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বিয়ের দাবিতে সুমন হোসেনের বাড়িতে আমরন অনশন করছেন।

শনিবার (৭ আগষ্ট) সন্ধ্যায় ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া গ্রামের মাঝি পাড়া এলাকায় সুমনের বাড়িতে অনশনরত তরুণীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।

জানা যায়, গত সাত বছর ধরে সুমন হোসেন ও রাজিয়া আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমন রাজিয়ার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। রাজিয়া সুমনকে বিয়ের কথা বললেই সুমন বলত আমার বড় ভাই এখনো বিয়ে করেনি। বড় ভাই বিয়ে করার পরই আমি তোমাকে বিয়ে করবো।

ভুক্তভোগী রাজিয়া আক্তার জানান, ২০১৪ সাল থেকে সুমনের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। এর মধ্যে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাগায় ঘুরতে গিয়েছি। সুমন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে সুমন আমার রুমে আসে তখনও আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে ভোর রাতের দিকে আমার পরিবার সুমনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আমাদের রুমে আটকিয়ে রাখে। পরে সুমনের বড় ভাই শামীম কে খবর দিলে সে এসে কৌশলে সুমনকে পালাতে সাহায্য করে এবং আমাকে বলে তোমাকে ২০ হাজার টাকা দিবো।

তিনি আরো বলেন, তুমি এই ঘটনা এখানেই ভুলে যাবে। পরে আমি এতে রাজি না হয়ে বিয়ের কথা বলাতে শামীম আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে বেশি বারাবাড়ি করলে তোকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবো। পরে শুক্রবার সকালে আমি সুমনের বাড়িতে উঠছি বিয়ের দাবিতে। আমি আসার পর সুমনের বড় ভাই শামীম আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ও (শামীম) সহ বাড়ির সবাই বের হয়ে গেছে। শুধু সুমনের বাবা আছে।

অভিযুক্ত সুমনের বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, আমার ছেলেরা বাড়িতে নাই৷ আমি হার্টের রোগী। আমাকে বেশি কিছু বললে আমি ষ্ট্রোক করে মারা যাবো। এবিষয়ে কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক রাছেল মোল্লা জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। ছেলে-মেয়ে দুজনই প্রাপ্ত বয়স্ক। কিন্তু মেয়ে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দিলে আমরা আইনিপদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

ইমরান খান, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ