বিএনএ, ঢাকা: আজ বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস। দেশব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হবে। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ স্কাউটস-এর প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
দিবসটি উদযাপনে কেন্দ্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্কাউটস-এর সদর দপ্তর। এ ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা, উপজেলা ও ইউনিটেও নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ স্কাউটস-এর জাতীয় কমিশনার (স্পেশাল ইভেন্টস) ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ।
১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশে বয়স্কাউট সমিতি গঠিত হওয়ার পর ১৯৭৪ সালের ১ জুন বিশ্ব স্কাউটস সংস্থার ১০৫তম সদস্য হিসাবে স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশ স্কাউটস সমিতি। ১৯৭৮ সালে বয়স্কাউট সমিতির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ স্কাউটস নামকরণ করা হয়। মেয়েদের সুযোগ দেওয়ার জন্য ১৯৯৪ সালে গার্ল-ইন স্কাউটিং চালু করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউটসের বিস্মৃতি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর সুনাম অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের সদস্য ২২ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি। গৌরব আর অর্জনে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব স্কাউট সংস্থার ১৭৩টি সদস্য দেশের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম স্কাউট দেশ। আর দ্রুত বর্ধনশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক (অ. দা.) উনু চিংসহ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কাউটস-এর সদর দপ্তরের সব সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য, স্কাউটিং বিশ্বব্যাপী একটি স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষামূলক যুব আন্দোলন। শিশু, কিশোর ও যুবকদের শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল, সৎ, চরিত্রবান, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই স্কাউট আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটেনের ব্রাউন্সি দ্বীপে স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউটিং কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন।
বর্তমান বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৪ কোটি ৩০ লাখ শিশু, কিশোর ও যুবকরা স্কাউট প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে আত্মনির্ভরশীল, পরোপকারী, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার মন্ত্রে উজ্জীবিত রয়েছে। স্কাউটদের আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সৎ, চরিত্রবান, কর্মোদ্যোগী সেবাপরায়ণ, সর্বোপরি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্কাউটস কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ আর্থসামাজিক অবস্থা ও মূল্যবোধ অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতি গঠনে স্কাউট আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিহার্য।
বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম