27 C
আবহাওয়া
১০:২৬ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাঙামাটিতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট

রাঙামাটিতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট


বিএনএ, রাঙামাটি : রাঙামাটির লংগদুতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট করার অভিযোগ ওঠেছে কাশেম নামে এক ‘ভন্ড’ কবিরাজের বিরুদ্ধে। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) লংগদুর গুলশাখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গুলশাখালী ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডের চন্দ্র মিত্র তালুকদারের বিয়ের পাঁচ বছরেও সন্তান না হওয়ায় এক কবিরাজের চিকিৎসা নেন। কবিরাজের কথা অনুযায়ী ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জোগাড় করেন। পরবর্তীতে কবিরাজ এসে স্বর্ণালঙ্কার ভিজানো পানি খেতে বলেন। এগুলো খেয়ে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় একই পরিবারের চারজনকে লংগদু হাসপাতালে ভর্তি করান।

আহতরা হলেন প্রীতিলাল তালুকদার কার্বারি (৬০), চন্দ্র মিত্র তালুকদার (৩০), জোনাকি চাকমা (২৮), স্মরণীয় চাকমা (১৪)। এদিকে তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান দায়িত্বরত চিকিৎসক।

বিকেলে চন্দ্র মিত্র তালুকদারের (৩০) জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান, আমার বিয়ের পাঁচ বছরেও কোন সন্তান হয়নি। সন্তানের জন্য অনেক টাকা খরচ করেছি। বিভিন্ন কবিরাজের কাছেও গিয়েছি। গত রবিবার কাশেম নামের একজন বয়স্ক কবিরাজ আমাদের বাড়িতে আসে। তিনি পূর্ণের জন্য বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের উপকার করে থাকেন। আমাদের সন্তান নেই সে বিষয়টি ওনি আগে জানতেন। তার কবিরাজি চিকিৎসায় আমাদের সন্তান হবে, শুনে আমরা তার কথায় চিকিৎসা নিতে রাজি হই। ওনি আমাদের ছয় বাড়ি ছয় ভরি স্বর্ণালংকার জোগাড় করে রাখতে বলেন। ওনি পরেরদিন আমাদের চিকিৎসার জন্য আমাদের বাড়িতে আসেন। একটি পাত্রে স্বর্ণালংকার ভিজিয়ে রেখে তার পানি আমাদের স্বামী স্ত্রীকে খেতে দেয়। সেগুলো খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার বাবা ও ভাতিজার কি হয়েছে তা আমরা এখনো জানি না। যে পাত্রে স্বর্ণালংকার ভিজানো ছিলো, পাত্রটি আছে কিন্তু স্বর্ণালংকার নেই। পরে আর কিছুই জানি না। এখন শুনি আমরা লংগদু হাসপাতালে।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ খোকন বলেন, খবর পেয়ে আমি পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করি। পরে পুলিশসহ তাদের বাসায় গিয়ে সবাইকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাদের লংগদু হাসপাতালে প্রেরণ করি।

এ বিষয়ে লংগদু থানার এসআই শাহাবুর আলম বলেন, যেহেতু রোগীর এখনো জ্ঞান ফিরেনি। তাই তাদের সাথে বিস্তারিত কথা বলা যাচ্ছে না। তারা সুস্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই জনের জ্ঞান ফিরেছে। বাকি দুইজন অচেতন রয়েছেন।

বিএনএনিউজ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ