24 C
আবহাওয়া
১২:১৮ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জাবিতে অটোরিকশাচালক নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জাবিতে অটোরিকশাচালক নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ


বিএনএ,জাবিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় অটোরিকশাচালক নিহতের ঘটনাকে হত্যা দাবি করে এর  প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো মওলানা ভাসানী হলের পুনর্মিলনীতে মাদকবাহী অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত রিকশাচালক ও সন্তান হারানো গর্ভবতী নারীর চিকিৎসার দায়ভার ও ক্ষতিপূরণ, জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি এবং ট্রান্সপোর্ট ও মেডিকেল সিস্টেমের উন্নয়ন করা।

সমাবেশে জাবি ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে একটা ন্যাক্ক্যারজন ঘটনা ঘটেছে তা হলো দুজন মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ঘটনা ঘটার পর মানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখাতে পারতো। সংশ্লিষ্ট পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতো।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মানুষ উল্লাস করতে গিয়ে একটা ন্যাক্ক্যারজন জনক ঘটনা ঘটিয়েছে। সেটা হলো অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে মানুষ হত্যা করা। শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স পায় না অথচ মাদক পরিবহনের জন্য নিয়মিতভাবে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে। পুনর্মিলনী একটা সম্প্রতির অনুষ্ঠান। কিন্তু আমরা দেখলাম আমরা একটা সম্প্রতির অনুষ্ঠান করতে যেয়ে দুটো মানুষকে মেরে ফেলা হলো। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পাসের সকল অনিয়ম অবিচারের প্রতিবাদ জানাই।’

এসময়, সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ তদন্তে আসলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অসহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসন সমন্বয়হীনতার পরিচয় দিয়েছে। ছাত্রলীগ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে মাদক আনে। এক শিক্ষক ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে কেন ঢাকায় যায় আমরা জানতে চাই৷ এর তদন্ত করতে হবে। সাভার থানা পুলিশ তদন্তে আসলে প্রশাসন কেন অসহযোগিতা করে সেটার জবাবদিহিতা চাই।’

ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সাবেক শিক্ষার্থীরা মদ আনার জন্য ক্যাম্পাসের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে। অথচ বর্তমান শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স পায় না। ভাসানী হলের অনুষ্ঠানের জন্য মদ আনার সময় অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে দুজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই। আমরা জানতে পেরেছি দুর্ঘটনায় যে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে মানুষ মারা হয়েছে সেই অ্যাম্বুলেন্সের চালককে আধা ঘন্টা পানিতে চুবানো হয়েছে কারণ দুর্ঘটনায় মদের কয়েকটি বোতল ভেঙেছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এই ঘটনার দায় নিতে হবে এবং যারা মারা গেছে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা দেখেছি যখন তদন্ত কর্মকর্তা ক্যাম্পাসে আসলো তখন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন এবং প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান জোর পূর্বক ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অপকর্ম আমরা মেনে নিবো না।’

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানের জন্য মাদকদ্রব্য পরিবহনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সের (ঢাকা মেট্রো ছ ৭১-৪৫৪৫) ধাক্কায় আব্দুল কুদ্দুস (৩০) নামের এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়। একই ঘটনায় রিকশায় থাকা চারজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ছিলেন। দূর্ঘটনায় যার গর্ভপাত হয় বলে জানা যায়। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

বিএনএ/ সানভীর, ওজি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ