বিএনএ ডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ছুঁয়েছে। বুধবার সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৮২৬ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে তুরস্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজার ৮৯৪ জন মারা যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
অপরদিকে সিরিয়ায় ১ হাজার ৯৩২ জন মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার মানুষ এখনো জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় আটকে আছেন। তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ মানুষ।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তুরস্কের হাতেই নামের একটি অঞ্চল। সেই অঞ্চলের অনেক জায়গায় এখনো উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারেননি।
৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা। কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ