বিএনএ, চট্টগ্রাম : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বড় গুণ হলো তিনি আস্থার সাথে অবলীলায় মিথ্যা কথা বলতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা যখন বললাম, ফখরুল সাহেব দেশে সাহায্য বন্ধ করার জন্য দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে দেশদ্রোহিতামূলক কাজ করেছেন। তারপর তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, আমি দেশের বিরুদ্ধে কোনো চিঠি দিইনি। এরপর যখন সেই চিঠির কপি আমরা গণমাধ্যমের সামনে দেখালাম এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিলাম এরপরে কিন্তু তাদের কোনো জবাব নাই। এইভাবে একটি দলের মহাসচিব মিথ্যাচার করতে পারে সেটি দেখে এবং শুনে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি নিজেও সত্যিই লজ্জিত।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কল্যান ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি শহিদুল আলম ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যে রাজনৈতিক দল একটি গণসংগঠন, জনগণের ওপর নির্ভরশীল, সে রাজনৈতিক দল নির্বাচন ব্যতিরেকে টিকে থাকতে পারে না, বেঁচে থাকতে পারে না। বিএনপি নেতারা সেই সত্যটা উপলব্ধি করতে পারছেন বলে আমার মনে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, যে রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ায় বিশ্বাস করে কিংবা যে রাজনৈতিক দলকে জনগণের সমর্থন নিয়ে টিকে থাকতে হয়, সে রাজনৈতিক দল নির্বাচন ব্যতিরেকে টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি যেই ভুলটি করছে সেটি তাদের আত্মহননের মতো, শুধু এটুকুই বললাম – বলেন তথ্য মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে সরকার সার্চ কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু ওনারা তো সিদ্ধান্ত নিয়েই বসে আছেন কোন নির্বাচনে যাবেন না। এভাবে ‘না’ বলতে বলতে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটি হচ্ছে আমার প্রশ্ন ভবিষ্যতে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, দায়িত্বে থাকলে অবশ্যই সমালোচনা হবে, আম পাকলে গাছে ঢিল পড়বেই, যেখানে আম পাকে না সেখানে ঢিল কেউ মারে না। কিন্তু সমালোচনা যেন অন্ধ এবং বধিরের মত না হয়। সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও যেন করা হয়। এই সরকার সাংবাদিকদের জন্য কি করেছে, কি করে যাচ্ছে, অতীতে এটি হয়েছে কিনা সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল করেন। সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে এসব দেখা হয়নি। যারা প্রকৃত পাওয়ার যোগ্য তারা পেয়েছেন। আমরা মনে করি সমালোচনা কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়ক।
অনুষ্ঠান শেষে তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের ১০৪জন সাংবাদিকের মাঝে সহায়তার চেক তুলে দেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।