বিএনএ,ঢাকা: করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরাসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার নির্দেশও দেন তিনি।
সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম ধাপে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের জন্য প্রমাণপত্র হিসেবে নিবন্ধন কার্ডের ব্যবস্থা করবে সরকার। স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়ে সবার জন্য টিকা প্রাপ্তির সমান সুযোগ নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন তিনি।
সরকার বলেন, দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য আট থেকে বার সপ্তাহ টাইম লাগে। ১৫ দিনে নিতে হবে বা এক মাসের মধ্যে নিতে হবে এমন না, এটা তিন মাস পর্যন্ত ইফেক্টিভ থাকে। সরকার চাচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে দেয়ার জন্য। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে এগুলো তাড়াতাড়ি শেষ করার চেষ্টা সরকারের চেষ্টা আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভ্যাকসিন যাতে ডেট এক্সপায়ার্ড না হয় সেটাও দেখতে হবে। ডিসি ইউএনও থেকে সবাইকে বলা উচিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আর পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ফ্রন্টলাইন ফাইটার্স চিকিৎসাকর্মী ল এনফোর্স এজেন্সি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যারা অ্যাক্টিভলি কাজ করছে তাদেরকে আগে দেয়া জরুরি। দলীয় নেতাকর্মীরাও যথেষ্ট কাজ করছে। তারা চাইলেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারে।
করোনা টিকার নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ ও সম্প্রসারিত করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার একটা আইডি কার্ড থাকতে হবে যেটা দেখে বোঝা যাবে তারা ভ্যাকসিনটা নিয়েছে। এটি দেখিয়ে তারা দ্বিতীয় ডোজ নেবে। এটি তাদের কাছে থেকে যাবে, এর মধ্য দিয়ে যারা দেশের বাইরে যাবে বা কোন কাজ করবে তাদের সনদ হিসেবে এটি কাজ করবে।সময়মতো ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি কার্যকর করতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।এছাড়া, গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে যে ভীতি আছে, তা দ্রুত কেটে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংএ মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে না পারলে ভোটার আইডি নিয়ে ভ্যাকসিন পয়েন্টে গেলে তাকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সহযোগিতা করা হবে। গ্রামের সবাই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি