বিএনএ, কক্সবাজার: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক দিনের সফরে কক্সবাজার আসছেন। ইতোমধ্যে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের স্লোগানে-স্লোগানে মুখর কক্সবাজারের রাজপথ।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী-পাটোয়ারটেক সৈকতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দুপুর আড়াইটায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টের কাছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
জানা গেছে, সর্বসাধারণের জন্য জনসভাস্থল সকাল ৮টার পর খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সকাল থেকেই লাবণী পয়েন্ট শেখ কামাল স্টেডিয়ামের মাঠে প্রবেশের মূল গেটে হাজার হাজার নেতাকর্মীর জটলা দেখা গেছে। একেক নেতার অনুসারীরা নিজেদের পরিচয় জানান দিতে পরিধান করেছেন নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি। স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রে জনসভাস্থলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সাধারণত মানুষ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে কক্সবাজারে আসে। কিন্তু আজ জেলাটির বিভিন্ন এলাকার মানুষ আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে থেকে দেখতে ও তার বক্তৃতা শুনতে এই জনসভায় আসবে।
দলের নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে পাঁচ বছর আগে পর্যটন শহরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া নগরীতে আবার আসছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ৬ মে এসে কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আলোকে নেওয়া হয় ৩ লাখ কোটি টাকার ৪০টি মেগা প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় অন্তত পাঁচ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবার কক্সবাজার সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি না চাইতেই কক্সবাজার জেলাবাসীকে অনেক কিছুই দিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সাজ সাজ রব পড়েছে পুরো কক্সবাজারে। শুধু জনসভার মাঠ নয়, লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠবে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাহারছড়ার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, হলিডের মোড়, শহীদ স্মরণী এলাকা, কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন হয়ে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত। এজন্য পুরো এলাকাজুড়ে দুই শতাধিক মাইক ব্যবহার করা হবে।
বিএনএ/এমএফ