বিএনএ ঢাকা: ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট। আর পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দেয়া সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার এই কর্মসূচিতে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। সাধারণ মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত দুইদিন রাস্তায় অফিসগামী লোকজনের চাপ কম ছিল। যদিও বড় পরিসরে বেশ কয়েকটি ভর্তি ও চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই রাস্তায় অফিসমুখী মানুষের ঢল দেখা যাচ্ছে। রাস্তায় বিআরটিসির কিছু বাস চলাচল করছে। আর একটি বাস এলেই তাতে হুড়মুড়িয়ে উঠছেন যাত্রীরা। বাসে উঠতে না পেরে অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেলের মতো ছোট যানবাহনে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এতে গুনতে হচ্ছে ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বেশি ভাড়া। যাদের সে সামর্থ নেই, তারা হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।
এদিকে, আকস্মিক লঞ্চ বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণের ৬ জেলার মানুষ। লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকামুখী লঞ্চে ভিড় করেন কয়েক হাজার যাত্রী। শনিবার দুপুর থেকে হঠাৎ লঞ্চ বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮০ টাকা করা হয়। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিচালক-মালিকরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বাস-লঞ্চ মালিকেরাও।
বিএনএনিউজ/আরকেসি