বিএনএ, ঢাকা : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাইজেসনের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প-বাণিজ্য ও সরকারী সেবাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ওর্য়াল্ড ইনভেস্টর সপ্তাহ উপলক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট মেনেজমেন্ট কোম্পানীজ এন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডস’র উদ্যোগে আয়োজিত “রোল অব টেকনোলজি এন্ড ইএসজি এনালাইটিকস ইন সাসটেইনেবল ফিনান্সিং” শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোস্তফা জব্বার এ কথা বলেন।
ইন্টারনেট রূপান্তরে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড সংযোগের পাশাপাশি দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইলে ফোর-জি সেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, একদেশ একরেটসহ ব্যান্ডউইদথের ব্যয় সাশ্রয়ী করা হয়েছে।
শিল্প বিপ্লবের যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তারাও এখন চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি বলে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি পৃথিবীকে শুধু বদলেই দেবে না, অনেক ক্ষেত্রে উন্নত দেশ অনুন্নত আর অনুন্নত দেশ উন্নত হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লবে শামিল না হয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ এর বিপুল সংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চম শিল্প-বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে। রোবটিক্স, আইওটি, বিগডাটাসহ নানা নতুন প্রযুক্তি প্রসারে আগামী দিনগুলোতে প্রচলিত ধারার শিল্প-বাণিজ্য পাল্টে যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচলিত ধারার পরিবর্তনের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিকে আলিঙ্গণ করতেই হবে।
দক্ষতা অর্জনের পথে কোন আপোস নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও ডাটা হাব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
বর্তমান প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবী হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এমন একটা সময় আসবে- যখন কৃত্রিম বুদ্বিমত্তা প্রযুক্তি ছাড়া শেয়ার ব্যবসা করার বিষয়টি মানুষ চিন্তাও করতে পারবে না। ডাটা এনালাইসিস করে জানা যাবে যে- কোন শেয়ারের দাম কখন বাড়বে বা কমবে।
অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট মেনেজমেন্ট কোম্পানীজ এন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডস‘র সভাপতি ড. হাসান ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএসইসি কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, মো. আবদুল হালিম ও ড. মিজানুর রহমান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী স্টেপ ইএসজি এনালিটিকস উদ্বোধন করেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।