বিএনএ ক্রীড়া ডেস্ক: পরিচালকদের ভোটে আবারও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)র সভাপতি হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। প্রথম মেয়াদে সরকারের মনোনয়নে সভাপতি হয়েছিলেন তিনি।
বুধবার (০৬ অক্টোবর) নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) সভাপতি বাছাইয়ের জন্য বৈঠকে বসেন ২৫ পরিচালক। বিসিবি সভাপতি হিসেবে তারা নাজমুল হাসান পাপনকেই বেছে নিয়েছেন। তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলনা।
নবনির্বাচিত বোর্ড পরিচালকরা বুধবার দুপুরে মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হন। সে সময় বাইরে আনন্দ মিছিল করেন নির্বাচিত পরিচালকদের সমর্থকরা। অনেকে ফুল দিয়ে তাদের অভিনন্দনও জানান।
এবার বিসিবি নির্বাচন হয়েছে ৩ ক্যাটাগরিতে। বিভাগ, ক্লাব ও সংস্থা ক্যাটাগরিতে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। সশরীরে ভোট দিয়েছেন ৫৮ জন। পোস্টাল আর ই-ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৬৩ জন।
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এই বিভাগে ৫৭ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৫৩টি। সর্বনিম্ন ২টি ভোট পেয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। রাজশাহী বিভাগে তিনি যেখানে লড়ছেন সেখানে ভোটার সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৯ জন।
২০১২ সালে সাবেক বিসিবি প্রধান আ হ ম মুস্তফা কামাল পদত্যাগ করলে তার স্থলাভিষিক্ত হন পাপন। এরপর ২০১৩ ও ২০১৭ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। তবে এবার ১৫ প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন পাপন।
এদিকে, সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান জানান, নতুন মেয়াদে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের কাজ এগিয়ে নেয়া, বিসিবির গঠনতন্ত্র, আঞ্চলিক ক্রিকেট ও অবকাঠামোগত কাজ বেশি গুরুত্ব পাবে। বিশ্বকাপের আগে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম হতেই হবে। বিশ্বকাপের খেলা চাইলে ৬টা স্টেডিয়াম লাগবেই।
র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির পাশাপাশি বিসিবির সংবিধানে পরিবর্তন আনতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে করে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ক্রিকেটে উন্নতির জন্য এখনও অনেক সুযোগ আছে। তবে সেজন্য অনেক কাজও করতে হবে। এবারের নির্বাচনে দেখা গেল, সারা বছর যারা ক্রিকেটের জন্য কিছুই করেনি তারা এসেছে ভোট দিতে। আর যারা সারা বছর ক্রিকেট খেললো, ক্রিকেটের জন্য কাজ করলো তাদেরই ভোটাধিকার নেই। এর সমাধান জরুরি। তাই সংবিধানে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। এতে করে অনেকে খুশি নাও হতে পারেন। দেশের ক্রিকেটকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে চান বলেও জানান পাপন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি