বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষক মো. কামরুল মোস্তফাকে (৩০) আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৬ জুন) চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বুধবার (৭ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ তথ্য জানায়।
আটক কামরুল কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার পেচারপাড়া এলাকার মৃত খাইরুল এনামের ছেলে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকায় একটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। সে যখন প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল তখন কামরুল মোস্তাফাও তাদের স্কুলে এইচএসসিতে পড়ত। পরিচয়ের সুবাধে কামরুলকে শিশু ভুক্তভোগী ভাইয়া বলে ডাকত। ভুক্তভোগীকে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক করে কামরুল প্রায় সময় তাদের বাসায় নিয়ে যেত। গত ৩ আগষ্ট ২০১৪ইং বিকাল ৪টায় কামরুল ভুক্তভোগীকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে কক্সবাজার নিয়ে যায়। সেখানে ভুক্তভোগীকে একটি আবাসিক হোটেলে ৫ আগষ্ট ২০১৪ইং পর্যন্ত ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক উপর্যূপরি ধর্ষণ করে।
পরদিন ৬ আগষ্ট কামরুল ভুক্তভোগীকে নিয়ে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে কর্ণফুলী এলাকা থেকে শিশুর বাবা এবং মামা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এবং আসামীকে থানায় সোর্পদ করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানায় কামরুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলাকালে কামরুল জামিনে বের হয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে আসামী কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
র্যাব আরও জানায়, ধর্ষক কামরুলকে আটকের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। সে আটক এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় আত্মগোপনে আছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব মঙ্গলবার (৬ জুন) অভিযান চালিয়ে মো. কামরুল মোস্তফাকে (৩০) আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। আটক আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/বিএম