বিএনএ,বিশ্বেডেস্ক: মধ্যরাতে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মোট নয়টি জায়গায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ভারত। ভারতের সরকার দাবি করেছে, ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকার ভিম্বার গলিতে কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই হামলা ছিল পরিকল্পিত, লক্ষ্যভিত্তিক এবং উত্তেজনা না বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত। কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়নি।” ভারত তাদের দাবি করা লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে সফল হয়েছে ।
এর আগে ভারতের দুইটি বিমান এবং একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান।।
গত ২২শে এপ্রিল ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ হামলা চালানো হলো।
পাকিস্তান এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। দেশটির আইএসপিআর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারতীয় বিমান বাহিনী গভীর রাতে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে অন্তত ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালায়। এতে মোট ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা ভারতের হামলার জবাবে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং ভারতীয় সেনাদের একটি ব্রিগেড সদরদপ্তর ধ্বংস করেছে। ভারতের একটি ড্রোনও ভূপাতিত করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ভারত যদি শত্রুতামূলক মনোভাব ত্যাগ করে, আমরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে আগ্রাসন চললে আমরা জবাব দিতে বাধ্য হব।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে রাত দেড়টার দিকে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।এরপর পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও রাতভর গোলাগুলি ও যুদ্ধবিমানের আওয়াজ শোনা গেছে।
তবে পাকিস্তান পাল্টা হামলার কথা বললেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।
বিএনএনিউজ /আরএস