বিএনএ,ঢাকা, (৭ মে) : চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৮৫,৪৩৮ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৪,২৭,১৯০ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৯০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৬৫ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৫ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৬৭৭টি পরিবার।
কক্সবাজার : জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ৩৫,০৮৪ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ০৪ লক্ষ ২৮ হাজার ২৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২,১৩,১১৫ টি প্রান্তিক পরিবার ও ৭,২৪,৯৯৫ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১,১১৬টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৩৪০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৪৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫৯ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি: জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২৫,২০০ পরিবার ও ৮৬,৯৮০ জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ ২৪,৫০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।
খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৮,৩০৮টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৯৬ লক্ষ ২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৩ লক্ষ ৮০০ টাকা ২২,৭৫৭ টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৩৬টি পরিবার।
বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ১৪,৫২০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার মধ্যে এ যাবৎ ৩৩,৮০৯টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ১৪ হাজার ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩০,৫০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ০৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৩ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।
নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭,০০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার মধ্যে অদ্যাবধি ২৩,৩৩০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ১ কোটি ০৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৬০টি পরিবার। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ৩৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫০ টাকা ১০,১১৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩৬,৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবার। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লক্ষ টাকার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১০০টি পরিবার।
কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৫০ টাকা মোট ৫৯,৯৯১টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে অদ্যাবধি বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৪২ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৭ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৭০০ পরিবার।
চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ২ কোটি ৭২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা ৪৭,৬০০টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১,০১,২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৬৯ লক্ষ ২১ হাজার ২০০ টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ১,১৬,৮৫৯টি প্রান্তিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৮০টি পরিবার। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লক্ষ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লক্ষ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।
কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য ও নগদ অর্থ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার(৭মে) ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ৭৫০০ পরিবার, নাগেশ্বরী উপজেলায় ১৬৭০০ পরিবার, ফুলবাড়ি উপজেলায় ৯৫০০ পরিবার, সদর উপজেলায় ৭৫০০ পরিবার ও চিলমারী উপজেলায় ৩৩৮৭ পরিবারকে ৪৫০টাকা হারে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জি আর কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায় ৬২৫ পরিবার, উলিপুর উপজেলায় ৬২৫ পরিবার ও চিলমারী উপজেলায় ৬২৫ পরিবারকে ৪০০ টাকা হারে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় ৭৭৮ পরিবারকে ৮৭৫০০ টাকা, বোদা উপজেলায় ২৭৭৫ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা, তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৫৫৫ পরিবারকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আটোয়ারী উপজেলায় ২১৫৫ পরিবারকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায় ৫৬১০ পরিবারকে ৫৫ লাখ ৩০ হাজার ০৫০ টাকা, বোদা উপজেলায় ১৬৬৫ পরিবারকে ৭৫ লাখ টাকা এবং আটোয়ারী উপজেলায় ১০৭৬ পরিবারকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪৫ জনকে জনপ্রতি ৮১০ টাকা মূল্যমানের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি ডাল এবং ১ লিটার সয়াবিন তেল।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর ও বোচাগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭০০০ গরিব দুস্থ অসহায় মানুষকে নগদ ৫০০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।
বরিশাল বিভাগ:
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জেলাসমূহের জেলা তথ্য এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ভোলা জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৯২টি পরিবারের ৪ হাজার ৮৭৪ জনের মাঝে ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা ত্রাণকার্য (নগদ অর্থ) বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ২৩৩ টি পরিবারের ৮১৫ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি (৪ মে, ২০২১) ভোলা সদর উপজেলার খেলাঘাটে ও বিআইডব্লিউটি এর অফিসের সামনে করোনা ভাইরাসজনিত মহামারির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ৬০ জন লঞ্চ শ্রমিক ও ঘাটশ্রমিকে মাঝে নগদ এক হাজার টাকা, একটি শাড়ি ও একটি লুঙ্গি করে বিতরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ২০০টি পরিবারের ২৪ হাজার ৮০০ জনের মাঝে ২৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা ত্রাণকার্য (নগদ অর্থ) বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ৪ হজার ৭১৩টি পরিবারের ২৮ হাজার ৮৫২ জনের মাঝে ২১ লাখ ২০ হাজার ৮৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ২০ টি পরিবার বা ৮০ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতে অনুরূপ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা বিভাগ:
চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, মাগুরা, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর ও যশোর জেলায় করোনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে শুক্রবার(৭মে) নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চা বিক্রেতা, ভ্যান চালক, দিনমজুর, অসহায় দুস্থ পুরুষ ও নারীসহ মোট দুইশত ৬০ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী হিসেবে মাথাপিছু ১০ কেজি চাল, এক কেজি মশুর ডাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল এক লিটার, এক কেজি চিনি এবং এক সেমাই প্যাকেট বিতরণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
নড়াইল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একশত ৫০ জন কর্মহীন শ্রমিকের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, আলু, ডাল ও তেল, সাবান ও মাস্ক। নড়াইলের জেলা প্রশাসক এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে ২৭ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
মাগুরা জেলা প্রশাসনের নিজস্ব বরাদ্দ হতে ৪৪ টি পরিবারের মাঝে সাত কেজি চাল ও এক কেজি করে ডাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া ভিজিএফ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ছয় হাজার দুইশত ৩০ জন উপকারভোগীর মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে ১৪ হাজার পাঁচশত পরিবারের মাঝে ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ২০ হাজার পাঁচশত ২৩ উপকারভোগী পরিবারের মাঝে পাঁচ কোটি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার তিনশত ৫০ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে ৩৮টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
যশোর জেলায় এ পর্যন্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ হিসেবে ৩৯ হাজার সাতশত ৫০টি পরিবারের মাঝে এক কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার পাঁচশত টাকা এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই লাখ ২০ হাজার ২০টি পরিবারের মাঝে নয় কোটি নয় লাখ নয় হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে এক হাজার চারশত ২০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় একহাজার ৫শত টি পরিবারের মাঝে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
বিএনএনিউজ২৪/এসজিএন