25 C
আবহাওয়া
৯:২৩ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দম্পতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দম্পতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দম্পতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

বিএনএ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজারের ইস্পাহানী মোড়ের কংক্রিট মিক্সার ট্রাকের ধাক্কায় নিহত মোটর সাইকেল আরোহী দম্পতির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার ( ৭ এপ্রিল ) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ তাদের আকবরশাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজশাহ কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।

নগরীর কোতোয়ালি থানার এসআই নয়ন চৌধুরী বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে নিহত স্বামী-স্ত্রীর সুরতহাল করেছেন তিনি। সুরতহালে স্ত্রীর মাথায় ও স্বামীর পেটে প্রচন্ড আঘাতে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘাতক কংক্রিট মিক্সার ট্রাক জব্দ করা হলেও চালক পালিয়েছে। তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, বুধবার ( ৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসক দেখিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার পথে কংক্রিট মিক্সার ট্রাকের ধাক্কায় প্রকৌশলী ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী (৪৭) ও তার স্ত্রী শিক্ষিকা সখিনা ফাতেমী (৩৫) নিহত হন। ইকবাল মীরসরাইয়ের মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে ও ফাতেমী পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনির মাওলানা সুলতান আহমদ নিজামীর মেয়ে। ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী নয়াবাজারের একটি মেশিনারি কোম্পানিতে সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী সখিনা ফাতেমী ছিলেন উত্তর কাট্টলীর হাজী দাউদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনি এলাকায় তারা ভাড়া থাকতেন। তাদের বিবাহিত জীবন ছয় বছর হলেও ঘটনার সময় সখিনা ফাতেমী অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

ফাতেমীর পরিবার সূত্র জানিয়েছে, তারা ৭ বোন, এক ভাই। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ট। অন্যদিকে ইকবাল চৌধুরীরা ৭ ভাই, এক বোন। তিনি সবার ছোট। ফাতেমী পড়াশোনা করেছেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে। পড়াশোনা শেষ করে তিনি হাজী দাউদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে ঢুকেন। অন্যদিকে ইকবাল চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে মেশিনারি কোম্পানিতে চাকরি পান এবং শেষ পর্যন্ত ওই চাকরিতেই ছিলেন।

নগরীর কোতোয়ালি ওসি জাহেদুল কবির জানান, ম্যাক্স নামের একটি ঠিকাদার কোম্পানির ট্রাকে পিষ্ট হয় ওই দম্পতি। ট্রাকটিকে আটক করলেও পলাতক রয়েছে চালক। ওসি বলেন, স্কুল শেষ করে ৩টার দিকে ওয়াসা মোড়ের এক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন অন্ত:সত্ত্বা শিক্ষিকা সখিনা ফাতেমী। সেখানে স্বামীকে ফোন করে ডাকেন। পরে দুজনে মোটরসাইকেল যোগে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যেই ঘটে গেল এ মর্মান্তিক ঘটনা।

বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম,এসজিএন

Bnanews24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

Loading


শিরোনাম বিএনএ