29 C
আবহাওয়া
২:৫০ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৪, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » ‘চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান একটি ভালো উৎস’

‘চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান একটি ভালো উৎস’

‘চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান একটি ভালো উৎস’

বিএনএ, চট্টগ্রাম: খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর বলেছেন, চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো উৎস।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বন্দরের চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) এক নম্বর জেটিতে চাল খালাস কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় তিনি একথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি খাদ্য বিভাগের কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মহাপরিচালক বলেন, বৃহস্পতিবারের হিসাবে দেশে ১৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টনের মতো চাল মজুত আছে। আমরা এখন স্টেবল পজিশনে আছি। চাহিদা এবং মজুত যথাযথ আছে। ১৩ লাখ, সাড়ে ১৩ লাখের নিচে মজুত থাকলে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকি। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের মোট সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি আছে। চাহিদা ও মজুত পরিস্থিতি দেখে আমরা প্রয়োজনে আবার চাল নিয়ে আসবো।

চাল আমদানির ক্ষেত্রে বিকল্প উৎস যত থাকবে ক্রেতা হিসেবে আমাদের তত সুবিধা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সরবরাহ যত বেশি হবে ক্রাইসিস তত কমবে। পাকিস্তানের সঙ্গে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। মোট ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আসবে। এর মধ্যে এখন যে জাহাজটা এসেছে সেখানে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন এসেছে। পাকিস্তানে ভালো চাল উৎপাদন হয়।

এত আমদানির পরও চালের দাম কমছে না কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, আমাদের সারাদেশে ওএমএস কার্যক্রম চলমান আছে। ১০ হাজার ৪৩ জন আমাদের ওএমএস ডিলার আছেন। এর বাইরে খাদ্যবান্ধব যে কর্মসূচি আছে সেখানে ৫০ লাখ কার্ডহোল্ডার আছে। যারা মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর আওতায় ৪ মার্চ পাকিস্তানের কাসিম বন্দর থেকে প্রথম চালানের চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো জাহাজ। জাহাজটির নাম ‘এমভি সিবি’। বুধবার সেটি সিসিটি-১ জেটিতে ভেড়ানো হয়। বুধবার রাত থেকে খালাস শুরুর কথা থাকলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খালাস শুরু হয়েছে।

বিএনএনিউজ/ নাবিদ

Loading


শিরোনাম বিএনএ