31 C
আবহাওয়া
২:৩৪ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক প্রপার্টি, ঘুরতে আসলে সমস্যা কী?

বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক প্রপার্টি, ঘুরতে আসলে সমস্যা কী?


বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পূর্বদিকের আবাসিক হল এলাকায় বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দিকটিতে, শহীদ শামসুজ্জোহা হল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের পুকুরপাড়ে প্রতিদিনই উঠতি বয়সী কিছু ছেলে-মেয়েদের দেখা যায়। শুধু তাই নয়, পুকুরের পাশে স্থাপিত বসার স্থানগুলোতে কয়েকজনকে আপত্তিকর অবস্থায়ও দেখতে পাওয়া যায়।

কয়েকজন বহিরাগতকে প্রশ্ন করা হয়, ভরদুপুরে এমন একটি আবাসিক এলাকায় কেন তারা বসে আছেন। একজন বলেন, “পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তো পাবলিক প্রোপার্টি, এখানে ঘুরতে আসলে সমস্যা কোথায়।”

আবাসিক হল যেখানে আছে সেখানে এভাবে বসে থাকাটা উচিত কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সেই বহিরাগত জানান, “এদিকে তো কোথাও লিখা নেই যে এটি আবাসিক এলাকা এবং এখানে বসে থাকা যাবে না; তাহলে সমস্যা কোথায়?”

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, হল এলাকায় বহিরাগতদের এমন অবাধ মেলামেশা আবাসিক পরিবেশ নষ্ট করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে ছেলেদের ৮ টি আবাসিক হল ও ১টি ডরমেটরি। এছাড়া প্রাধ্যক্ষদের বাসভবন ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য নির্ধারিত বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনও রয়েছে এই দিকে।

অভিযোগ রয়েছে, শুধু অবাধ মেলামেশাই নয়; সন্ধ্যা হলেই বহিরাগতরা এখানে এসে মাদকের আসর বসায়। এমন একটি আবাসিক এলাকায় এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবাসিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

শহীদ শামসুজ্জোহা হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, “পুকুরের পাশে স্থাপিত বসার স্থানগুলো বহিরাগতরাই দখল করে রাখে। মাঝে মাঝে কিছু উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণী এমন আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকে যা অত্যন্ত বিব্রতকর।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. একরামুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবেও লক্ষ্য করেছি। আমার হলের শিক্ষার্থীদের একটি আবাসিক পরিবেশ আছে, সেখানে এভাবে বহিরাগতরা অবাধে চলাফেরা করার কোনো সুযোগ নেই। আমি খুব দ্রুতই এই জায়গাগুলোতে ব্যানার লাগিয়ে দেবো, সেখানে এই জায়গাটির সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিও নিয়মিত অভিযান চালাবে।”

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সুন্দর একটি ক্যাম্পাস। এখানে দর্শনার্থীরা আসতে পারে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের আবাসিক এলাকায় অবাধে এসব মেলামেশার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব বিষয়ে কোনো ছাড় দেবে না।”

বিএনএ/সাকিব, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ