দেশের নাগরিকদের মধ্যে করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রথম ধাপে ফ্রন্টলাইনারদের টিকা প্রদান শেষে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। শুরুর দিনেই টিকা নেবেন প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সরকারের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা। ১০০৫ কেন্দ্রে এ প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের ২৪০০টি দল এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন। দেশব্যপী এ সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। প্রথম দিন ঢাকায় প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবদের অনেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকা নেবেন।
শনিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা নেওয়ার জন্য ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৩ জন নাম নিবন্ধন করেছেন। রোববার সকাল ১০টা মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম এ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নতুন ভবনে এ বিফ্রিং হয়।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪ টিম এবং ঢাকার বাইরে সারা দেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে ২১৯৬টি টিম টিকা প্রয়োগে যুক্ত থাকবে।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে এ কাজ। তিনি বলেন, যেসব কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে মোটামুটি সব জায়গায় প্রস্তুতি ভালো। আমরা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারছি। কিছু কিছু ছোট কেন্দ্রে, মাতৃসদন, শিশুসদন কেন্দ্রগুলোতে সকালের দিকে কিছুটা সমস্যা ছিল। সন্ধ্যার মধ্যে সেগুলো প্রস্তুত হয়ে গেছে।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি একজন নার্স টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ওই দিন আরও ২৫ জন টিকা নেন। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে আরও ৫৪১ জনকে দেওয়া হয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য এদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। খুব একটা সমস্যা না হওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে টিকা প্রয়োগ শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনএ/এমএইচ