31 C
আবহাওয়া
৫:৫৬ অপরাহ্ণ - মে ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মধ্যরাতে চবিতে ফের সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ

মধ্যরাতে চবিতে ফের সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ

চবি

চবি, প্রতিনিধি: আগের বিরোধের জেরে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বগিত্তিক উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও ভিএক্সের কর্মীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম ও উভয় গ্রুপের অন্তত ৬ কর্মী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এবং ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেন। বিবাদমান গ্রুপ দুটি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা হাতে মহড়া দিতে দেখা যায় তাদের।

পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি রাত পৌনে ১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, আগের ঘটনার জেরে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই শাখা ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। দুই গ্রুপের কর্মীরা নিজ নিজ হলের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে রাতে দুই গ্রুপের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় সোহরাওয়ার্দী মোড় ও শাহ জালাল-শাহ আমানত হল সংলগ্ন সড়কবাতি ভাঙচুর করা হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা রাতের শাটল ট্রেনে ভিএক্স গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনায় ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে সিক্সটি নাইন গ্রুপের দুই কর্মী এবং ভিএক্স গ্রুপের এক কর্মী আহত হন।

শুক্রবার রাতের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ড. আবু তৈয়ব বলেন, তার (শহীদুল ইসলাম) চোখের পাশে ইটের আঘাত লেগেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

অন্য আহতদের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে ৬ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছেন।

সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, আগের দিনের সমস্যা ওদের মধ্যে সমাধান হয়নি। সেজন্য আবার তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

এ ঘটনায় সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ