বিএনএ ঢাকা: শনিবার (৮ জানুয়ারি) থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে। এবারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কলেজ পাবেন আবেদনকারীরা। আগে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ থাকলেও এবার শুধু অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে। দুই মাস ধরে ভর্তি কার্যক্রম শেষে ২ মার্চ একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।
কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরি করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আবেদনে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবে শিক্ষার্থীরা। ভর্তির জন্য তিন ধাপে মেধাতালিকা প্রকাশ করবে কর্তৃপক্ষ। একাদশে ভর্তি হতে xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে পুনরায় ফি দিয়ে আবেদন করবে তারা। ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি।
১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হয়ে হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
যারা আবেদন করতে পারবেন:
২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যারা এসএসসি পাস করেছেন, তারা আবেদন করতে পারবেন। তবে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা ২২ বছর বয়সেও আবেদন করতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও দাখিলের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করবেন, তারা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করলেও ফল পরিবর্তনকারীরা ২২ ও ২৩ জানুয়ারি আবেদন করতে পারবেন। ২৪ জানুয়ারি পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হবে। ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।
কোন প্রতিষ্ঠানে আবেদন ও ভর্তি ফি কতো:
আবেদন ও নির্বাচন পর্ব শেষে ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। এবার আবেদন ফি ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালায় ঢাকা ও জেলা পর্যায়ে বাংলা এবং ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফিসহ সব ব্যয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, ঢাকা মহানগরের বাইরে ৩ হাজার, জেলা পর্যায়ে ২ হাজার আর উপজেলা ও মফস্বলে ১ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা যাবে। নির্ধারিত ফির বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেয়া যাবে। উন্নয়ন ফি আদায় করা যাবে না।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া হয়, সারা দেশে এমন কলেজ ও মাদ্রাসা আছে ৮ হাজার ৮৬৪টি। আর সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আছে ৫৫০। কলেজ ও মাদ্রাসায় আসন আছে ২৪ লাখ ৪০ হাজার ২৪৯টি। পলিটেকনিকে আছে ১ লাখ ৬৯ হাজার আসন। সবমিলিয়ে এ স্তরে আসন ২৬ লাখ ৯ হাজার ২৪৯টি। এর বিপরীত দিকে এসএসসি, দাখিল এবং সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন পাস করেছেন। তাদের মধ্যে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ২১১, দাখিলে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭২২ এবং কারিগরি শাখা থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৩ জন পাস করেছেন।
এদিকে, ৮ জানুয়ারি থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতেও আবেদন নেয়ার চিন্তা চলছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ভর্তি নীতিমালাসহ এই সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি