বিএনএ, নেত্রকোনা : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, যাদের বয়স ৬৫ পার হয়ে গেছে, এখন থেকে তারাও হজে যেতে পারবেন। সবাই যাতে নিরাপদে হজে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৬৫ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদেরকেও হজ পালন করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। মন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত সরকার সজল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আমিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার মোঃ নুরুল আমিন, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার, সদর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মহসিন আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্পিতা খানম, জেলা প‚জা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জ্ঞানেশ সরকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সীতাংশু বিকাশ আচার্য, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম মুখলেছুর রহমান খান সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৩৬ বছরে যা সম্ভব হয়নি, প্রায় ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সরকার তা সম্ভব করেছে। সব কিছুতেই উন্নয়ন হচ্ছে। শুধু ইসলাম ধর্মের জন্যই নয়, পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের আমানত ৪ কোটি টাকা থেকে ৭ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বৌদ্ধ বিহার পেগোডা নির্মাণ ও সংস্কারে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, অস্বচ্ছল ভিক্ষু ব্যক্তিদের চিকিৎসায় প্রায় ৩৮ লাখ টাকার অনুদান, বৌদ্ধ বিহারে ২ হাজার ৪ ৭ কোটি ৮৫ লাখ, বৌদ্ধ বিহার ও শ্মশান উন্নয়নে ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা প্রদানসহ দেশের অর্থায়নে নেপালের লুম্বিনীতে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণে ৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের স্থায়ী ম‚লধন ২১ কোটি টাকা থেকে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও সংস্কারে ২৬৩ কোটি টাকা, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির উন্নয়নে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা, পুরোহিতদের প্রশিক্ষণে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দদান করা হয়েছে। মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। দেশের এই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনা সরকারকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, এই দেশ অস¤প্রদায়িক। এখানে হাজার বছর ধরে বহু ধর্মের মানুষ মিলে মিশে একসাথে বসবাস করছে। প্রত্যেক ধর্মেই শান্তির কথা বলা আছে। সকল ধর্মকেই সম্মান দিতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সব ধর্মের মানুষ রক্ত দিয়েছে। হাজার বছরের এই সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।
বিএনএ/ ফেরদৌস আহমাদ বাবুল, ওজি