বিএনএ কক্সবাজার: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশের মতো কক্সবাজার থেকেও দূরপাল্লার বাস ছাড়ছেনা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে যাওয়া হাজারো পর্যটক।
ছুটির দিন সামনে রেখে একদিন আগে থেকে পর্যটকরা বেড়াতে যান কক্সবাজারে। ঠিক তেমনি গত শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ছুটির দিন থাকায় বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে যান কয়েক হাজার পর্যটক। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ পর্যটক ধর্মঘটের কারণে আটকে গেছেন। যদিও খুবই কম সংখ্যক পর্যটক অতি প্রয়োজনে বিমানে করে কক্সবাজার ত্যাগ করেছেন।
তবে কিছু মিনিবাস কক্সবাজার টু চকরিয়া এবং চকরিয়া টু চট্টগ্রাম যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে করে দ্বিগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে চট্টগ্রামের আশপাশের পর্যটকরা বাড়ি ফিরছেন। তাদের বাজেটের বাইরে অতিরিক্ত থাকা-খাওয়া ও সময়ের ব্যাপারে সমস্যার কথা বলেছেন একাধিক পর্যটক।
চাঁদপুর থেকে কক্সবাজারে যাওয়া ৩০ শিক্ষার্থীর গ্রুপের সদস্যরা বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এতোদিন কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তারা বন্ধুরা মিলে শুক্রবার কক্সবাজারে ঘুরতে যান। শুক্রবারে ছুটির দিনে সারাদিন ভালো লেগেছে। শনিবার কাউন্টারে এসে দেখা যায় বাস বন্ধ। এখন চরম বিপাকে পড়েছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্তঃ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহ আলম জানান, প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর কোনো একটা সমাধান হয়ে ওপর থেকে নির্দেশনা আসলে ঠিক আগের মতো বাস চলবে। কাউকে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এই সাময়িক অসুবিধার জন্য পর্যটকসহ যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে কক্সবাজার আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রভাব পড়েছে। আগে থেকে বুকিং দেয়া রুমগুলো খালি পরে আছে।
কক্সবাজান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানান, মৌসুমের শুরুতে আশানুরূপ সাড়া পাওয়ার পথে পরিবহণ ধর্মঘট দুঃখজনক ব্যাপার। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক পর্যটক কক্সবাজারে আসতে পারছেন না। এজন্য বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পর্যটন খাত। পরিবহণ ধর্মঘটের বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে পর্যটন শিল্পে ধস নামবে বলে জানান তিনি।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সভাপতি আনোয়ার কামাল জানান, ছুটির দিনে কক্সবাজারে ভিড় করেন পর্যটকরা। এখন শীতের শুরু হিসেবে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে পরিবহন ধর্মঘট খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।
কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, গণপরিবহন বন্ধের বিষয়টি জাতীয় ইস্যু। এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত আসার কথা। এরপরও কোনো অসুবিধায় পড়া পর্যটকরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি