27 C
আবহাওয়া
১:১৬ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৫৪(কুমিল্লা-৬)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৫৪(কুমিল্লা-৬)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে কুমিল্লা-৬ আসনের হালচাল।

কুমিল্লা-৬ আসন 

কুমিল্লা-৬ সংসদীয় আসনটি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৫৪ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থী রেদোয়ান আহমেদ বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ১ শত ৭০ জন। ভোট প্রদান করেন ৭৬ হাজার ৫ শত ৪১ জন। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেদোয়ান আহমেদ বিজয়ী হন। তিনি পান ৩১ হাজার ১ শত ৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আলী আশরাফ। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩০ হাজার ৬ শত ৩১ ভোট ।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ফ্রিডম পার্টির অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।এই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বঘোষিত হত্যাকারি ফ্রিডম পার্টির অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ১১ দিন মেয়াদী ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে খন্দকার আব্দুর রশিদ বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আলী আশরাফ বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪ শত ২৯ জন। ভোট প্রদান করেন ৯৭ হাজার ৪ শত ২১ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আলী আশরাফ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩৭ হাজার ৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির রেদোয়ান আহমেদ। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৩৬ হাজার ৭ শত ২৪ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির রেদোয়ান আহমেদ বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ১ শত ৫৭ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৭ শত ২৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির রেদোয়ান আহমেদ বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৭ হাজার ৪ শত ৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক আলী আশরাফ । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩৯ হাজার ৩ শত ৬৪ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের আ ক ম বাহার উদ্দীন বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ১ শত ৬৯ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ১ শত ৪৪ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আ ক ম বাহার উদ্দীন বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২৬ হাজার ১ শত ৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মো; আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৫০ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের আ ক ম বাহার উদ্দীন বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬ শত ৮৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯ শত ৮০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আ ক ম বাহার উদ্দীন বিজয়ী হন । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৯ হাজার ২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান। আনারস প্রতীকে তিনি পান ৩৮ হাজার ২ শত ৯৩ ভোট।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের আ ক ম বাহার উদ্দীন বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ৮ শত ৮৪ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ২৫ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আ ক ম বাহার উদ্দীন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মো; আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো: তৈয়্যব এবং গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির আবুল হোসেন মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আ ক ম বাহার উদ্দীন বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩ শত ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মো; আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১৮ হাজার ৫ শত ৩৭ ভোট।

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থী, ষষ্ঠ সংসদে ফ্রিডম পাটি ও অষ্টম সংসদে বিএনপি এবং সপ্তম, নবম ,দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর কুমিল্লা-৬ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কুমিল্লা-৬ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪৯.৯৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪০.০২%, বিএনপি ২.৫৫%, জাতীয় পাটি ০.৮৩%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৫৬.৬০% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৩.০১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮.০৭%, বিএনপি ৩৭.৭০% জাতীয় পাটি ০.৬৫%, জামায়াত ইসলামী ২.২১% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২১.৩৭% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৮.৯৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০.৮২%, ৪ দলীয় জোট ৬৮.৪৯%, জাতীয় পাটি ০.২৭%, স্বতন্ত্র ও ০.৪২% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮০.৪১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৪.২৫%, ৪ দলীয় জোট ৪৪.০৬% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৬৯% ভোট পায়।

কুমিল্লা-৬ (সদর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন): কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। এছাড়া মনোনয়ন চাইবেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খানের মেয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আনজুম সুলতানা সীমা।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন, মহানগর বিএনপি নেতা কাউসার জামান বাপ্পী, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।

নির্বাচনী ভাবনায় বর্তমান সংসংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, এই আসনের ৫৪টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের সক্রিয় কমিটি আছে। দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ তার পক্ষে আছে। গ্রুপিং থাকলেও ১ আর ১৯ ব্যবধানের এই গ্রুপিং তার নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে কোনো সমস্যা নয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন চাইবেন এবং এ আসনটি আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে সক্ষম হবেন এমন প্রত্যাশা করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, বিএনপি এক দফার আন্দোলন করছে। বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনে যাবে না। যদি দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং দল যদি নির্বাচনে যায় তাহলে আমি এ আসন থেকে দলের মনোনয়ন চাইবো এবং জিতবো ।

তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কাজী আকবর উদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে এই আসনটি আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির দখলে চলে যায়। এরশাদের আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে এখান থেকে সংসদ সদস্য হয়ে সংসদে যান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের রাজনৈতিক দল ফ্রিডম পার্টির খন্দকার আব্দুল মান্নান। বেগম জিয়ার আমলে ১৯৯৬ সালে ষষ্ট সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বঘোষিত খুনি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ। ওই সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনে বসেন রশীদ। বেগম জিয়া তাকে নির্বাচিত করার জন্য ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে এসে বিএনপির টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া রেদোয়ান আহমদকে মনোনয়ন দেয়নি । সেই কারণে এই আসনটি সারাদেশে আলোচিত সমালোচিত।

এ আসনটি থেকে ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে রেদওয়ান আহমদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালের রেদওয়ান আহমদ কর্নেল অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপিতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে এলডিপি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কাছে। তখন থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।

এ আসনে আওয়ামী লীগে আফজল ও বাহার গ্রুপ নামে দুটি চির প্রতিদ্বন্দ্বী ধারা বিদ্যমান। ২০২১ সালের নভেম্বরে বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খান মারা গেলেও সম্পর্কে জোড়া লাগেনি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের মধ্যে। দশম সংসদ নির্বাচনে জেলার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আফজল খানের জ্যেষ্ঠপুত্র ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান ইমরান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের কাছে হেরে যান।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটি পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দলের মধ্যে হাজী ইয়াছিন এবং সাবেক সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু সমর্থিত দুটি ধারা বিদ্যমান। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় মনিরুল হক সাক্কু ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সারকে বহিস্কার করে বিএনপি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৫৪ তম সংসদীয় আসন (কুমিল্লা-৬) আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহানা, এমএফ, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ