বিএনএ ডেস্ক: ২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন ফরাসি সাহিত্যিক আনি এর্নো। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সুইডেনের স্টকহমে নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটি জানায়, এই লেখকের বেশিরভাগ সাহিত্যকর্মই আত্মজীবনীমূলক। তাঁর সাহস এবং অনন্য ধৈর্যের সঙ্গে শিকড়ের সন্ধান, ব্যক্তিগত স্মৃতির সঙ্গে তাঁর মিলন-বিরহের সম্পর্ককে লিখনে তুলে আনার জন্য তাকে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রকাশিত তাঁর স্মৃতকথা ‘দ্য ইয়ার্স’-কেই আলোচকরা তাঁর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে চিহ্নিত করা হয়।
এর্নো’র জন্ম ১৯৪০ সালে ফ্রান্সের নর্মান্ডিতে এক শ্রমজীবী পরিবারে। রুয়েঁ এবং বোর্দো বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য নিয়ে পাঠগ্রহণের পরে তিনি সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন। তাঁর লিখন মূলত আত্মজৈবনিক বা স্মৃতিকথন। প্রথম জীবনে কিছু আখ্যানধর্মী লেখা লিখলেও পরে তিনি সরে আসেন স্মৃতিকথায়।
তাঁর লেখায় উঠে আসে তাঁর নিজের গর্ভপাতের প্রসঙ্গ, আসে মাতৃবিয়োগ, অ্যালঝাইমার্স বা ক্যানসারের কথাও। তাঁর বই ‘আ উওম্যান’স স্টোরি, আ ম্যান’স প্লেস’, ‘সিম্পল প্লেস’ বা ‘আই রিমেন ইন ডার্কনেস’ ইতিমধ্যেই পাঠকের নজর কেড়েছে, আদায় করেছে আলোচকদের শ্রদ্ধা। ‘প্যাসন সিম্পল’ গ্রন্থে এক পূর্ব ইউরোপীয় পুরুষের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক বহুমাত্রিক বর্ণালির ভালবাসাকে উপস্থাপন করে।
নোবেল কমিটির স্থায়ী সদস্য ম্যাটস মাম বলেছেন, আনি এর্নো যে সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন সেটি তিনি জানেন না। তবে আনি দ্রুতই এ খবর পাবেন বলে জানান ম্যাটস মাম।
তার সাহিত্য ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। তবে আনি এর্নো’র এসব সাহিত্যকর্মকে ইংরেজীভাষী সমালোচক ও পাবলিশাররা মাঝে মাঝে আত্মজীবনী বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আনি নিজে সব সময় বলেছেন, তার কর্মগুলো কল্পকাহিনী।
আনি এর্নো’র অনেক সাহিত্যকর্ম ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। ২০১৯ সালে দ্য ইয়ার্স নামে বইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক বুকার অ্যাওয়ার্ডের জন্য নমিনেশন পান তিনি।
বিএনএ/এ আর