বিএনএ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘ইমাম মেহেদি’ দাবিকারী নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলায় আহত মো. রাসেল মোল্লা (২৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রাসেল ওই দরবারের খাদেম বলে জানা গেছে। তিনি ওই উপজেলার দেবগ্রাম জতুমিস্ত্রিপাড়ার মো. আজাদ মোল্লার ছেলে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টম্বর) বিকালে ওই ঘটনার পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তার মৃত ঘোষণা করেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও পাঁচজন হাসপাতালের সার্জারি ও ট্রমা বিভাগে চিকিৎসাধীন। বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে আনা হয়। রাত ১০টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তাদের মধ্যে ট্রমা বিভাগে একই গ্রামের রাহেলা বেগম (৩০) ও সিদ্দিক ফকির (৩০) এবং সার্জারি বিভাগে রয়েছেন আলমাস মোল্লা (৪৫) ও সাজ্জাদ মোল্লা (২০)।
স্থানীয়রা জানান, নুরুল হক আশির দশকের মাঝামাঝি নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ বলে দাবি করেছিলেন। তখন চাপের মুখে তিনি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। পরে আবার তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। তার বেশ কিছু ভক্ত-অনুসারীও রয়েছে।
২৩ অগাস্ট ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে তার প্রতিষ্ঠিত গোয়ালন্দ দরবার শরীফের ভেতরে কাবা শরিফের আদলে রং করা মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচু বেদিতে দাফন করা হয়।
এরপর থেকে কবর নিচু, রঙ পরিবর্তন ও ইমাম মাহাদির দরবার শরিফ লেখা সাইনবোর্ড অপসারণের দাবি তোলেন তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উভয় পক্ষকে নিয়ে একটি সভাও হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সমাধানে একটি কমিটিও গঠন করে।
শুক্রবার নুরুল হকের মরদেহ তুলে তাতে আগুন দেওয়া হয়।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।