বিএনএ ডেস্ক: টানা কয়েক সপ্তাহর ভোগান্তির পর উত্তরাঞ্চলে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনাসহ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে উত্তরের ৮টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
দুই-একদিনের মধ্যে মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও থেকে কমতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, আগামি ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ এবং বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সেইসঙ্গে পদ্মাসহ মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি নদ-নদীর পানিও শিগগিরই কমতে শুরু করবে। ফলে এই অঞ্চলের জেলাগুলোতেও বন্যার পানি কমে আসবে। চলতি মাসের মাঝামাঝির সময়ের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানানো হয়।
তবে, ৮টি নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে এখনও পানিবন্দী দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্য ও মধ্যাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। বন্যা কবলিত এসব এলাকার মানুষের ভোগান্তিও কমেনি। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যা মোকাবেলা করছে তারা।
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমলেও দূর্ভোগে রয়েছে পানিবন্দি দেড় লাখ মানুষ। বানভাসি এসব মানুষের মাঝে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি কমলেও বেড়েছে ভাঙন। নদীর প্রবল স্রোতে প্রতিদিনই বসতভিটাসহ আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
বন্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিরাজগঞ্জের পাঁচ উপজেলার চরাঞ্চলের ২৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এখনও ডুবে আছে।
যমুনা নদির পানি কমতে শুরু করায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে, জেলার ৬টি উপজেলার প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি।
টাঙ্গাইলে এক লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী। মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর, দৌলতপুর ও সাটুরিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও রাস্তা-ঘাট।
ফরিদপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এতে জেলা সদরসহ চার উপজেরার ১৩ টি ইউনিয়নের এক লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। পাশাপাশি মধুমতি ও আড়িয়াল খাঁ নদের বিভিন্ন অংশেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বসতঘর, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে চলে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি