বিএনএ, সাভার : ঢাকার ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে তার বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক নারী নেত্রী। শুক্রবার (৫ আগষ্ট) সকাল ১০টার দিকে ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ধামরাই উপজেলা মহিলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেত্রী সুরাইয়া আক্তার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে গাওয়াল মৌজায় ৮ শতাংশ জমির মালিক। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা উক্ত জমিতে বিল্ডিং করতে গেলে চেয়ারম্যানের বখাটে লোকজন ও সন্ত্রাসী বাহিনীদ্বারা আমার বিল্ডিং নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এবং চেয়ারম্যানের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার জন্য বলে যায়। আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে চেয়ারম্যান তার মোবাইল নাম্বার থেকে আমাকে কল দেয়। আমি সরল বিশ্বাসে সরকারি ছুটির দিন তাহার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে যাই। কার্যালয়ের জানালা বন্ধ থাকা অবস্থায় আমার প্রতি কুনজর দেয় এবং অনৈতিক কার্যকলাপের কুপ্রস্তাব দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমার উপর তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তিনি চেয়ার থেকে উঠে আমার হাত টান দেয় ও আমাকে হেনস্তা করে। আমি আত্মরক্ষার্থে তার বাম হাতে কামড় দেই এবং নিজের সম্মান বাঁচানোর জন্য চিৎকার দিলে আমার ছেলে সহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে দুশ্চরিত্রবান চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন আমাকে ছেড়ে দিয়ে ভবিষ্যতে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। বর্তমানে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, নারী নির্যাতনকারী আওলাদ চেয়ারম্যানের কারণে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সরজমিন তদন্ত পূর্বক প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিচারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন বলেন, সুরাইয়া আক্তারের ভাই মো. আব্দুল মালেক সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে অভিযোগ করেন। এজন্য সুরাইয়াকে পরিষদে ডেকে আনা হয়। যেহেতু ভাই বোনের মধ্যে বিবাদ তাই বিষয়টি মিমাংসা করার কথা বলা হয়। আর সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। আসলে যা বুজলাম বর্তমান সমাজে ভাল কাজ করাটাই যেন অপরাধ।
বিএনএ/ইমরান, এমএফ