বিএনএ, ঢাকা: শুক্রবার(৫আগস্ট) রাতে তেল বাড়ানোর ঘোষণার আগে থেকে সারাদেশে পেট্টোল পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ রেখে গ্রাহকদের জিন্মি করে ফেলে। এ সময় কোন কোন পাম্পে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। কোন কোন পাম্পে রাত ১১টা থেকে সরকার ঘোষিত দামে রেশনিং পদ্ধতিতে মোটর সাইকেল প্রতি ২শত টাকার অকটেন এবং কার ও অন্যান্য গাড়িতে সর্বোচ্চ একহাজার টাকার পেট্টোল/অকটেন বিক্রি করে।
১২টার আগেই পাম্পে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। কোন কোন পাম্পে বিক্ষুদ্ধ গ্রাহকদের সামলাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সী সাইড ফিলিং স্টেশনে ছুবি তুলতে গেলে বিএনএর ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ টুটুলকে মালিক পক্ষ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বের করে দেয়া হয়।
চট্টগ্রামের কয়েকটি বাস মালিক সমিতি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার হতে শহর এলাকায় বাস না চালানোর ঘোষণা দিয়েছে।
রাজধানীর উত্তরাসহ বেশ কিছু স্থানে তেলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। রাত ১০-১১টার সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন ধরে অনেকে তেল না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
এর আগে শুক্রবার রাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাম বৃদ্ধির কথা জানানো হয়। বলা হয়, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)-এ পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে এই দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়। ভারত গত ২২ মে থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২ দশমিক ৭৬ রুপি এবং পেট্রল ১০৬ দশমিক ০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে।এই মূল্য বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪ দশমিক ০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা (১ রুপি=১.২৩ টাকা ধরে)। অর্থাৎ বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪ দশমিক ০৯ এবং পেট্রল লিটার প্রতি ৪৪ দশমিক ৪২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছিল। তাই সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেও জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো ছিল সময়ের দাবি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিগত ছয় মাসে (২২ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সব পণ্য) ৮০১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয়ও অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।
বিএনএনিউজ,জিএন