বিএনএ, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিল করে জারি করা ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ বিকেল ৩টায় । রোববার (৭ জুলাই) সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৪৭টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালসহ চার দফার ভিত্তিতে সারাদেশে দিনব্যাপী অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ চালাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। কর্মসূচির প্রথম দিন জনসংযোগে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে সংহতি প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩টি বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, দাবি আদায় করেই আমরা ঘরে ফিরব।
শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলন করছেন। দাবিগুলো হলো-
১।২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
২।পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ছাড়া)।
৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং
৪।কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জের ধরে সারজিস আলম নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে অমর একুশে আবাসিক হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাবির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ওই হলের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন শুরু করেন। পরে আলমকে হলে ফেরায় হল প্রশাসন।
অন্যদিকে নতুন সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহারের দাবিতে আগামীকাল রোববার থেকে আবারও সর্বাত্মক কর্মসূচি শুরু হবে। কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা হবে না। সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিমকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে এটি প্রত্যাহারের দাবিতে গত সোমবার থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এই দুই আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
বিএনএনিউজ/রেহানা/এইচ.এম/হাসনা