স্পোর্টস ডেস্ক: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গত এপ্রিল থেকে শ্রীলঙ্কায় অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় দ্বীপরাষ্ট্রে এশিয়া কাপের মতো বড় আয়োজন করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই। যদিও অস্ট্রেলিয়াকে তিন টি-টোয়েন্টি, পাঁচ ওয়ানডে ও দুই টেস্টে আতিথেয়তা দিয়ে শ্রীলঙ্কা বুঝিয়ে দিয়েছে মাঠের আয়োজনে তারা প্রস্তুত। এর আগে তারা বাংলাদেশ সফরও করেছিল।
আগস্ট-সেপ্টেম্বরে (২৭ আগস্ট-১১ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ২০২২ এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ আরও একটি দল অংশ নেবে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ‘মূলত এসিসি থেকেই এশিয়া কাপের সিদ্ধান্ত আসবে। এখন পর্যন্ত যা জানি- শ্রীলঙ্কাই আয়োজন করছে। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা সফর করেছে। তাদের হোস্টিংয়ের চ্যালেঞ্জ হয়ত কাটিয়ে উঠেছে। আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়েই এশিয়া কাপ হবে।’
‘বাংলাদেশের সাথে ভারত-পাকিস্তানের মত হাই প্রোফাইল দলগুলোও যাবে। তাই আমাদের চেয়ে এসিসিই এটা নিয়ে বেশি ভাবছে। আশা করি বিষয়টা তারা সেভাবেই সামাল দিবে।’ – যোগ করেন তিনি।
২০১৮ সালে সবশেষ এশিয়া কাপ হয়েছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে। সেবার বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২০২০ সালে টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা থাকলেও মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে তা হয়নি। আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হয়েছিল ২০১৬ সালে, বাংলাদেশে। সেবারও বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।
২০২০ এশিয়া কাপ আয়োজন করার কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। করোনার কারণে পিছিয়ে ২০২১ সালে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। অবশেষে ২০২২ সালে হচ্ছে সেটি। অন্যদিকে এশিয়া কাপ ২০২২ আসরের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাদের ২০২৩ এশিয়া কাপ আয়োজন করার কথা রয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ