27 C
আবহাওয়া
৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঝুঁকিতে রাবির সংলগ্ন মহাসড়ক, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

ঝুঁকিতে রাবির সংলগ্ন মহাসড়ক, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা


বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিনোদপুর গেটের পাশে চলছে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ। তাই সড়কে কেবল একটি লেন দিয়েই চলছে যানবাহন। আর মহাসড়কটি ব্যবহার করে ঢাকাগামী ভারি যানবাহন চলাচল করছে। এতে করে বিনোদপুর গেট সংলগ্ন মহাসড়কের এই অংশটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ কোনো দুর্ঘটনা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে অবস্থিত বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত। বিনোদপুর বাজারে কেনাকাটা করতে গেলে রাস্তা পারাপারের সময় বেশ ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। নেই কোনো স্পিড ব্রেকার, দেখা যায় না কোনো ট্রাফিক পুলিশকেও।

বিনোদপুর গেটের ঠিক পাশেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেট, বিনোদপুর কাঁচাবাজার। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কটির অন্য প্রান্তে রয়েছে আরও বেশ কিছু দোকানপাট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের ১১টি হলের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত এবং কেনাকাটার জন্য এই গেটটি ব্যবহার করে থাকেন। শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীরাই নন, বিনোদপুরে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে বসবাসকারি শিক্ষার্থীরাও এই বাজারটিতে এসে কেনাকাটা করে থাকেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কটির সম্প্রসারণের কাজ চলছে। বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ভারি যানবাহন দ্রুত গতিতে চলাচল করছে। কোনো স্পিডব্রেকার না থাকায়, যানবাহনগুলোর গতি নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হচ্ছে না। বিনোদপুর গেটেই রয়েছে একটি পুলিশ ফাঁড়ি। কিন্তু মহাসড়কটি এমন ঝুঁকিপূর্ণ থাকার পরও মোতায়েন করা হয়নি কোনো ট্রাফিক। পুলিশের টহলও খুব একটা চোখে পড়ে না বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়কের এই অংশটিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কটির এমন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নিরাপত্তা শঙ্কটে ভোগছেন। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রহমান বলেন, “এই মহাসড়কটির পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট। গাড়িগুলো কিভাবে চলবে তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। ট্রাফিক পুলিশ কোথায় থাকে জানি না; আজ পর্যন্ত আমার চোখে পড়ে নি।”

রাস্তাটি এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে উল্লেখ করে এই শিক্ষার্থী জানান, “ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় একটা বাস একটা ট্রাককে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত হতে গিয়ে আমাকে প্রায় পিষ্ট করে দিত। আমি তাড়াতাড়ি করে রাস্তার পাশে চলে গেলাম। প্রশাসনের উচিত পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে এখানে অন্তত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করা। যেন কোন দুর্ঘটনা না ঘটে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব বলেন, “বিনোদপুর গেটের একেবারে পাশ দিয়ে ভারি যানবাহন যাতায়াত করছে। কোনো স্পিডব্রেকার না থাকায়, গাড়িগুলো দ্রুতগতিতে পার হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং পুলিশ প্রশাসনের মহাসড়কটির নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।”

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, “মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজটি করছে সিটি কর্পোরেশন। তবুও, আমি পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি ইনফর্ম করছি। অতি শীঘ্রই একটি স্পিডব্রেকারের ব্যবস্থা করা হবে।”

বিনোদপুর গেটের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাবি প্রক্টর আরও বলেন, “আমরা গেটে বাড়তি গার্ড মোতায়েনের ব্যবস্থা করছি। তাছাড়া এই মহাসড়কটিতে বেশ কয়েকটি মুখোমুখি সংঘর্ষ ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। আমরা চাচ্ছি, মহাসড়কের এই অংশটিতে যেন যানবাহনগুলো একটি নির্দিষ্ট গতিসীমার মধ্যে থাকে। আমি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।”

বিএনএ/সাকিব,এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ