বিএনএ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় সাংবাদিকদের নিয়ে ভাবেন। তিনি সাংবাদিকদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের জন্য বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি অবাধ সাংবাদিকতা উপভোগ করছেন বলেন মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘জুমবাংলা যুগপূর্তি সম্মাননা-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সাংবাদিকদের সাথে কিভাবে চলতে হবে তাঁর কাছ থেকে শিখেছি। আমরা রাজনীতিবিদরা দেশের জন্য মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুমাত্রিক নেতৃত্বের অধিকারী। তাঁর নেতৃত্বে ১৩ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে। সকল সেক্টরের প্রয়োজনের কথা তিনি ভাবেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশের পজিটিভ ইমেজ তৈরি হয়েছে। এ ইমেজকে ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে ১৬ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ অবদানের জন্য ‘জুমবাংলা যুগপূর্তি সম্মাননা ২০২২’ প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন; মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর)-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দিন; শিক্ষায়-বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান; কথাসাহিত্যে-কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক; চিত্রশিল্পে-স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম টাকা ও কয়েনের নকশাকার কে. জি মুসতফা; চিকিৎসায়-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল; সমাজসেবায়- খুলনা অঞ্চল সমাজসেবায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান অনির্বাণ লাইব্রেরি; সাংবাদিকতায়-যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিম।
ফটোগ্রাফিতে-আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার পাভেল রহমান; আবৃত্তিতে-স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম; কবিতায়-কবি ও সাংবাদিক খান মুহাম্মদ রুমেল; ছড়াতে-ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক পাশা মোস্তফা কামাল; গীতিকারে-বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী; সংগীতে-গায়ক, সুরকার ও সংগীত গবেষক সাজেদ ফাতেমী; কৃষিতে-বরেন্দ্র ও রূপগ্রাম কৃষি খামারের উদ্যাক্তা সোহেল রানা; জনসচেতনায়-বস্ত্র প্রকৌশলী সাঈদ রিমন, নারী উদ্যাক্তায়-উই এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা এবং আইটিতে-ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. মনির হোসেন।
বিএনএ/ এ আর