বিএনএ, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পরীক্ষায় বসতে দেওয়া, উপস্থিতি সিস্টেম বাতিল ও অনুপস্থিতির যৌক্তিক কারণ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসার অনুমতি না দেওয়ায় প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে নূরুউদ্দিন আহমেদ নামের লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের এক শিক্ষার্থী।
সোমবার (৬ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের পাদদেশে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি। পরে সাড়ে পাচঁটার দিকে আগামীকাল ১২টা পর্যন্ত বিভাগের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবেন জানিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করেন তিনি।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়, গতকাল বিভাগটির ২০২০-২১ সেশনের স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সেখানে অন্য তিনটি কোর্সে উপস্থিতির ৪০% নিশ্চিত করতে পারলেও ‘গভর্নেন্স ইস্যুস অ্যান্ড প্রবলেমস ইন বাংলাদেশ’ (PA-523) কোর্সে নিশ্চিত করতে পারেনি ওই চার শিক্ষার্থী। যাদের রোল নম্বর যথাক্রমে ২২১০৩০২০, ২২১০৩০৩৫, ২২১০৩০৪২ এবং ২২১০৩০৫১।
পরীক্ষায় সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন মাতৃত্ব পরবর্তী জটিলতা, দুইজন অসুস্থতা ও একজন চাকরিতে যোগ দেওয়ায় উপস্থিত থাকতে পারেনি। তাঁরা যথাক্রমে ওই কোর্সে ২০, ৩৫, ৩৫ ও ১০ শতাংশ করে ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী ৪০ শতাংশের কম উপস্থিতি থাকায় পরীক্ষা বসতে পারেনি বলে জানানো হয় তাদের। তবে মানবিক দৃষ্টি দেখে ওই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আবেদন করলেও একাডেমিক কমিটি নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
পরীক্ষার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাদেরই একজন নূরুউদ্দিন আহমেদ। তিনি এ বিষয়ে বলেন, গত রোববার আমাদের একটি কোর্সের পরীক্ষা হয়। সেখানে উপস্থিতির কারণ দেখিয়ে আমাকে বসতে দেয়া হয়নি। যেখানে ৪০% উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও আমার তা ছিল ৩৫%। আমি অনুপস্থিতির যৌক্তিক কারণ দেখিয়েছি। তবুও আমার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়নি। আমরা যে পরীক্ষায় বসতে পারব না সে বিষয়ে আগে থেকে জানানোও হয়নি। ফরম পূরণ করার পর শিক্ষকরা না করে দিয়েছে। আমাদের যৌক্তিক কারণ দেখে মানবিক দৃষ্টিতে যেন পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেয় সে দাবি করছি।
এদিকে পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, একজন শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড অবস্থান নিয়েছে শুনে আমি এখানে এসে তার সাথে কথা বলেছি। এখানে বিভাগ অসহায়। পরীক্ষা কমিটির সাথে এটির কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবুও আমি তাকেঁ বলেছি বিভাগের সভাপতির সাথে আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। তবে কোন সিদ্ধান্ত আমি দিতে পারিনা।
তবে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে নূরুউদ্দিন বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। বিষয়টি বিভাগ কনসার্নে নিয়েছে এবং বলেছে কালকে ১২টার মধ্যে আমাকে জানাবে। এজন্য অপেক্ষা করব ১২টা পর্যন্ত। কি বলে সেটা শুনে আমি পরবর্তী পদক্ষেপ নিব।
প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা শিক্ষার্থী এবং বিভাগের শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি। শিক্ষকরা আশ্বস্ত করেছেন তারা ওই শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিএনএ/ হাবিবুর রহমান, বিএম,ওজি