19 C
আবহাওয়া
১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আমরণ অনশনে রাবির উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থীরা

আমরণ অনশনে রাবির উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থীরা


বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ, ২য় সেমিস্টার পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের সঠিক সমাধান এবং সকল অসঙ্গতির বিচার চেয়ে আমরন অনশণ করছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে শুরু হয় এই অনশন। শিক্ষার্থীদের দাবি, কয়েক মাস ধরেই তারা আন্দোলন করছেন, কিন্তু বিভাগ কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সমস্যার সমাধান করছে না।

এদিকে, সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসে। সেসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডেসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও, শিক্ষার্থীরা তাদের অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান শিক্ষকরা।

কয়েকজন শিক্ষার্থী সকাল থেকে অনশন করার ফলে অসুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবে না তারা।

কেন আমরণ অনশন?

উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রথমবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফলাফলে অস্বাভাবিক বিপর্যয় ঘটে। বিষয়টি নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে অভিযোগ করলেও, তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরণ অনশন ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না।

এছাড়া, ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রেও বিলম্ব করছে বিভাগ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বিভাগে সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ার নেই; ফলে সৃষ্টি হয়েছে সেশনজট।নিয়মিত ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনশনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, উর্দু বিভাগ একটি “অসুস্থ বিভাগে” পরিণত হয়েছে।

উর্দু বিভাগের সভাপতি ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, “অর্ডিন্যান্সের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই আমাদের। শিক্ষার্থীদের আমি বলেছি, সামনের সেমিস্টারগুলোতে তাদের ফলাফল ভালো করার সুযোগ রয়েছে। একাডেমিক কমিটির নির্দেশে পরীক্ষা কমিটি ফলাফলটি যাচাই করেছে; তারা প্রতিবেদনও দাখিল করেছে, সেখানো কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায় নি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আলমগীর হোসেন সরকার বলেন, “করোনার পর শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা থেকে হয়তো কিছুটা বিমুখ ছিল। সেই কারণে কয়েকটি বিভাগে এমন বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আমার মনে হয়। এক্ষেত্রে, ফলাফল বিপর্যয়টিকে একেবারে জেনারালাইজড না করে একটু অন্যভাবে বলা উচিৎ। সেশন জট কাটাতে বর্তমান প্রশাসনের নির্দেশে আমি বিভাগগুলোতে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছি। আশা করি, দ্রুতই এই সংকটগুলো নিরসন করা হবে।”

 

বিএনএনিউজ/সাকিব/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ