38 C
আবহাওয়া
৩:৩৯ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ধামরাইয়ে স্ত্রী খুনের ১৩দিন পর স্বামী আটক

ধামরাইয়ে স্ত্রী খুনের ১৩দিন পর স্বামী আটক

স্ত্রী জুলেখা বেগম হত্যা মামলার আসামী স্বামী কহিনুর ইসলাম ফকির

সাভার প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকায় চাঞ্চল্যকর স্ত্রী জুলেখা বেগম হত্যা মামলার আসামী স্বামী কহিনুর ইসলাম ফকির (৬২) নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব-৪।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে, শনিবার রাতে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত জুলেখা ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকার কহিনুর ইসলামের স্ত্রী।
র‌্যাব-৪ জানায়, আসামি কহিনুর ইসলাম ফকিরের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যা মামলা হয়। কহিনুর সেই মামলা থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য লোক চক্ষুর আড়ালে চলে যায়। পরিচিত লোকজন থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার জন্য ঘটনার পর মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর এলাকায় আত্মগোপন করেছিল। কিন্তু ঘটনার ১৩দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ এর সহযোগী একটি চৌকস আভিযানিক দল মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানা  এলাকা থেকে তাকে আটক করে। রোববার সকালে আসামী কহিনুর ইসলাম ফকিরকে থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।
র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গত ২০ নভেম্বর কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকায় কহিনুর তার নিজ বাসায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী জুলেখাকে ইট দিয়ে থেতলিয়ে হত্যা করে ঘরের ভিতরে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর ধামরাই থানার পুলিশ গিয়ে কহিনুরের বাড়ী থেকে জুলেখার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেই ঘটনায় জুলেখার বড় ভাই আব্দুল কাদের বাদী হয়ে ধামরাই থানায় কহিনুরকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই থেকে র‌্যাব-৪ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কহিনুর ইসলাম ফকির মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানা এলাকায় আত্মগোপনে আছে। সেই ভিত্তিতে গতকাল শনিবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে কহিনুর ইসলাম ফকিরকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০/১১/২২ইং তারিখ রোববার দুপুরের দিকে জুলেখা ও তার স্বামী কহিনুরের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জের ধরে ইট দিয়ে থেতলিয়ে স্ত্রী জুলেখাকে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে জুলেখার মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পেরে স্বামী কহিনুর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এঘটনায় জুলেখার ভাই আব্দুল কাদের বাদী হয়ে ধামরাই থানায় কহিনুর ইসলাম ফকিরকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ইমরান খান,এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ