বিএনএ ডেস্ক: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের শুকনা নন্দারাম এলাকায় সড়ক থেকে পাহাড় ধসের মাটি সরানো হয়েছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে সড়ক মেরামতের কাজ শেষ হলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমনা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এর ফলে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বেলা ১১টার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পাহাড় ধসে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তবে ধসে পড়া মাটির পরিমাণ বেশি হওয়ায় রাতে মাটি সরানো যায়নি। পরে আজ বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি এক্সকাভেটর দিয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়।
রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় বাঘাইহাট থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য তিন শতাধিক যানবাহন প্রস্তুতি নেয়। তবে পাহাড়ধসের কারণে এসব গাড়ি বাঘাইহাট থেকে ১০ নম্বর এলাকা পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় অপেক্ষা করছিলো। এ ছাড়া ঘটনাস্থল নন্দারাম এলাকায় সড়কের দুই দিকে শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে ছিলো। অন্যদিকে সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র থেকে ফেরার অপেক্ষায় ছিলো আরও তিন শতাধিক যানবাহন। তবে যান চলাচল শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুর্পন দেব বর্মন বলেন, প্রতিদিন রুইলুই থেকে বেলা ১১টা ও বেলা ৩টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় পর্যটকের গাড়িবহর নেয়া হয়। বেলা ১১টায় তিন শতাধিক যানবাহনের তিন হাজার পর্যটক ফেরত যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা ফিরতে পারেননি। বাঘাইহাট থেকে সাজেকে আসার জন্য তিন শতাধিক গাড়ি আটকা পড়েছে। আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য রিসোর্ট-কটেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা আজ আসতে না পারলে শত শত ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
মেঘের রাজ্য হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি। ছুটির দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে জায়গাটি। সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় পর্যটকরা ছুটে আসছেন। সাজেকে ১১২টি কটেজ রয়েছে। সবমিলে প্রায় চার হাজার পর্যটক থাকতে পারেন।
বিএনএ/এ আর