বিএনএ কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুই শতাধিক চরাঞ্চলের এক লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছে। টানা ২ সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী এসব মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকায় জেগে ওঠা নতুন চরে বসত গড়া মানুষজন। ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে এসব চরের মানুষ পানিবন্দি জীবন যাপন করায় দেখা দিয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শিশুখাদ্য ও গোখাদ্যের সংকট। দীর্ঘ সময় পানিতে অবস্থান করায় হাতে-পায়ে অনেকেই পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ধরলা আর ব্রক্ষপুত্র অববাহিকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ও উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদীপশুর চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। মানুষজন ভেলায় আর নৌকায় চলাচল করছে। অনেকে তাদের গবাদীপশু নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এসব বন্যা কবলিত অধিকাংশ মানুষ কোন ত্রাণ পায়নি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বন্যার্তদের জন্য ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন করে আরও ১ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা বিতরণের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি