বিএনএ ডেস্ক: জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। রাত ১২ টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা। তবে বাড়তি মুনাফার আশায় রাত ১২ টার আগে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে দাম বৃদ্ধির খবর প্রকাশ হওয়ার তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করেন ভোক্তারা। বলেন, ঘরে ফেরার পথে তারা জ্বালানি নিয়ে ঘরে ফিরবেন অথচ পাম্প থেকে বলে দেয়া হয়েছে এখন তেল বিক্রি বন্ধ। ফলে ঘরে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ার কথা জানান ভোক্তারা।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। ভুক্তভোগীরা বলেন, দাম বৃদ্ধির খবর শুনে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন পাম্প মালিকরা। রাত ১২ পর বিক্রি করলে দ্বিগুন দাম পাওয়া যাবে বলেই বিক্রি বন্ধ রেখেছে তারা।
গ্রাহকরা বলেন, দাম বৃদ্ধির খবরে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রাখা অনৈতিক। সরকার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তার মানে এই নয় তেল বিক্রি বন্ধ রাখতে বলেছে। গ্রাহকদের এভাবে জিম্মি করে বাড়তি মুনাফা আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির তথ্য জানায়। সেখানে বলা হয় প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্টোল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এর আগে প্রতি লিটার অকটেনের মূল্য ছিল ৮৯ টাকা, পেট্রোল ৮৬ টাকা, ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ টাকা। গড়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।
রাতে বিপিসি জানায়, রাত ১২ টার পর থেকে এই দাম কার্যকর। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করে নি। অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা দাম বাড়ানো হয়েছে। বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জ্বালানি তেলের দাম পুনঃবিবেচনা করা হবে।
বিএনএ/এ আর