বিএনএ, মিয়ানমার ডেস্ক: জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের প্রতিনিধি অবিলম্বে তার দেশে সেনা সরকার কর্তৃক অব্যাহত হত্যাকাণ্ড বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। বুধবার(৪আগস্ট) এক পত্রে তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে মিয়ানমারের সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আহবান করে বলেন, এখনই উপযুক্ত সময়।
মি.কিঅউ মোই তুন জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট প্রেরিত পত্রে তথ্য প্রকাশ করে বলেন, কেবল জুলাই মাসে মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের কানি টাউনশিপে মিয়ানমার সেনারা ৪০জনকে হত্যা করেছে।খবর এএফপির।
সামরিক জান্তার মুখপাত্র এ হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করলেও স্থানীয়রা জান্তার সেনাদের ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ি করেন।সাগাইং অঞ্চলে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। দূত মি.কিঅউ মোই তুন অভিযোগ করেন,৯ ও ১০ জুলাই সেনারা নির্যাতন করে কানি টাউনশিপের এক গ্রামের ১৬জনকে হত্যা করেছে।এতে ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে ১০হাজারের বেশি গ্রামবাসী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
ঘটনার পর দিন সেনারা এলাকা ছেড়ে চলে গেলে সেখানে বনাঞ্চলেআরও ১৩টি মরদেহ পাওয়া যায়।
২৮জুলাই বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনকারীদের খুঁজে খুঁজে বের করে হত্যার উদ্দেশ্য কানির অপর এক গ্রামে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ চালায়। সেখানে ১৪বছরের এক শিশুসহ ১১জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।বহু ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত মি.কিঅউ মোই তুন বলেন, এমন পরিস্থিতে মিয়ানমারে ব্যাপক জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।১ফেব্রুয়ারি সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর হতে দেশটিতে ৯শয়ের বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয় মনিটরিং গ্রুপ দাবি করেছে।
মিয়ানমারের দূত মি.কিঅউ মোই তুন জান্তা সরকারের আহবানে দেশে ফিরতে অস্বীকার করেন।সরকার বিরোধীদের সমর্থনে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন