28 C
আবহাওয়া
১০:১৩ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভাষা সৈনিক (১৭) ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. আব্দুল বাছেত

ভাষা সৈনিক (১৭) ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. আব্দুল বাছেত

ভাষা সৈনিক ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. আব্দুল বাছেত

ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. আব্দুল বাছেত ১৯৩৩ সালের ১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার সোমজানী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম-আয়েনউদ্দিন, মাতার নাম-ইরফান নেছা। তিনি ১৯৪৯ সালে টাঙ্গাইলের বিন্দু-বাসিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫১ সালে করটিয়া সা’দৎ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৫৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন।

১৯৫৮ সালে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ‘মেডিকেল সার্জন’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পাকিস্তানি আর্মি মেডিকেল কোরে যোগদান করে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সেখানেই কাজ করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইলে প্রাইভেট প্রাকটিস করেন এবং ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে ‘লহ্মী নারায়ণ কটন মিল’-এ মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আবারও প্রাইভেট প্রাকটিস করেন। বর্তমানে সমাজসেবা ও রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি রাজনীতি, চিকিৎসা ও সমাজসেবার পাশাপাশি লেখালেখি ও সাহিত্যচর্চাও করেন।

আব্দুল বাছেত ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। মেডিকেলের ৩নং ব্যারাকের ১নং রুমে থাকতেন। তিনি ১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সভা-সমাবেশ এবং আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি পিকেটিং করতে যেয়ে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। তিনি একুশের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সাক্ষী। গুলি বর্ষণের পর ব্যারাক এবং হাসপাতালের নানা কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২২ তারিখের গায়েবি জানাজা এবং শোক মিছিলের অংশীদার ছিলেন। শোক মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে কার্জন হলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ঘেরাও করলে সেখানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং অন্যদের সাথে এর প্রতিবাদ করেন।

সূত্র: যারা অমর ভাষা সংগ্রামে, লেখক: এমআর মাহবুব

সম্পাদনায়: মনির ফয়সাল

পড়ুন আগের পর্ব: ভাষা সৈনিক (১৬) মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পর্ব : ০২

Loading


শিরোনাম বিএনএ