25 C
আবহাওয়া
৮:৫২ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বন্দরের অনুমতি না নিয়েই বার্জে বৈদ্যুতিক খুঁটি

বন্দরের অনুমতি না নিয়েই বার্জে বৈদ্যুতিক খুঁটি

বন্দরের অনুমতি না নিয়েই বৈদ্যুতিক খুঁটি বার্জে

বিএনএ,চট্টগ্রাম : বন্দরের অনুমতি ছাড়া নগরীর বাকলিয়া বাস্তুহারার শেষ প্রান্তে আউটার রিং রোড দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে বার্জে তোলা হচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটি। আউটার রিং রোডে স্তুপ করে রাখা হয়েছে এসব বিদ্যুতের খুঁিট। ক্রেন অবস্থান করছে কর্ণফুলী নদীতে। সেখান থেকে ক্রেনের মাধ্যমে বার্জে তোলা হচ্ছে খুঁটি। বার্জ ভর্তি করে এসব বিদ্যুতের খুঁটি নেওয়া হচ্ছে নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। কর্ণফুলী নদীতে স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী জেটি বা ঘাট বসাতে হলে বন্দরের অনুমতি নিতে হয়। তবে, এ ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি বন্দরের অনুমতি।

বাস্তুহারায় হালকা যান চলাচলের সড়ক নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। সেই সড়ক দিয়ে ৫০ টন ওজনের লরি ঢুকছে বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে। এতে সড়ক দেবে যাচ্ছে। লরি চলাচল বন্ধ  না হলে দ্রুত সড়কের বেহাল দশা হবে এবং চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এতে বাস্তুহারার লোকজনের হাঁটা চলায় দুর্ভোগ নেমে আসবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, বাকলিয়ায় বাস্তুহারার এলাকায় আউটার রিং রোডে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে বসানো হয়েছে অস্থায়ী জেটি। সেখানে প্রতিদিন রাতে টেইলারযোগে আসে বিদ্যুতের খুঁটি। নিয়ম অনুয়ায়ী এসব বিদ্যুতের খুঁটি বন্দরের জেটি ব্যবহার করে বার্জে তোলার কথা। এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পেত বন্দর। রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে বিদ্যুতের খুঁটি বার্জে তোলার ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে বন্দর। এসব বিদ্যুতের খুঁটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অতি মুনাফা লাভের আশায় সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। তবে, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের বিনিময়ে অবৈধভাবে জেটি বসানোর সহযোগীতা করছে ওই এলাকার আজমির ও কোরবান আলী এবং রিং রোড প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) আউটার রিং রোড প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। অভিযোগ রয়েছে সেই স্পেক্ট্রার কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এসব বিদ্যুতের খুঁটি অবৈধভাবে বার্জে তোলা হচ্ছে। এ জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ডিপিএম নাছির উদ্দিন দিদার ও সুপার ভাইজার রিফাতও নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।

জানা গেছে, নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হবে ৩০ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি। অবৈধ জেটি দিয়ে এসব বিদ্যুতের খুঁটি তোলা হচ্ছে বার্জে। একদিন পরপর ১৪০ থেকে ১৫০টি বিদ্যুতের খুঁটি নেওয়া হয় ভাসানচরে। এসব বিদ্যুতের খুঁটি নিতে সময় লাগবে ৪/৫ মাস। পটিয়ার সংসদ সদস্য হুইফ শামসুল হক চৌধুরী ও জনৈক ইউসুফ এসব বিদ্যুতের খুঁটি সরবরাহ করছে বলে জানিয়েছে বার্জের লোকজন।

জানতে চাইলে স্পেক্ট্রার ডিপিএম নাছির উদ্দিন দিদার বলেন, বাকলিয়া ছাত্রলীগের সভাপতি নাকি সেক্রেটারি আমাকে ফোনে অনুরোধ করেছে লিংক রোডের জায়গার ওপর বিদ্যুতের খুঁটিগুলো রাখার জন্য। তারা খুঁটিগুলো নদীতে অবস্থিত বার্জে তুলবে। এতে নির্মাণাধীন লিংকরোডটি ব্যবহার করবে। আমরা যেহেতু বাহির থেকে এসে কাজ করছি। সেহেতু স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে আমাদের কাজ করতে হয়। যার ফলে আমরা জায়গাটি তাদের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি।

স্পেক্ট্রা সুপারভাইজার রিফাত জানান, আজমিরসহ স্থানীয় কয়েকজন লোক বিদ্যুতের খুুঁটিগুলো এখান দিয়ে নিয়ে আসছে। তারা খুঁটিগুলো আমাদের ব্যারাকের ওপর দিয়ে আনতে চেয়েছিল। এখন রিং রোডের ওপর রেখে খুঁটিগুলো বার্জে তুলছে। স্থানীয় লোকজন বলায় আমরা এখান দিয়ে খুঁটিগুলো বার্জে তুলতে দিচ্ছি।

এ বিষয়ে জানতে রিং রোড প্রকল্পের পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী রাজিব দাশের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া  যায় নি। যার ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, কে বা কারা বিদ্যুতের খুঁটিগুলো বাস্তুহারা এলাকায় রিং রোড দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে অবস্থিত বার্জে তুলছে এ বিষয়টা আমাদের জানা নেই। বন্দরের আওতাধীন এলাকায় ঘাট বা জেটি কিংবা মালামাল লোড-আনলোড করতে চাইলে বন্দরের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বন্দর ম্যাজিষ্ট্রেট সেখানে অভিযান চালাবে।

বিএনএনিউজ২৪.কম/আমিন

Loading


শিরোনাম বিএনএ