বিএনএ ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজ হোস্টেল এলাকা থেকে ৪টি বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ৫০টির বেশি সাপের ডিম উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (০৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘন্টার চেষ্টায় কলেজের হোস্টেল ও মাঠে সাপগুলো উদ্ধার করে মোঃ কামাল হোসেন নামে এক সাপুড়ে ও তার দল।
কলেজ সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে কলেজ হোস্টেলের একটি কক্ষে সাপ দেখতে পায় আবাসিক ছাত্ররা। পরে বিষধর সাপটি মেরে ফেলে তারা। এরপর সোমবার সকালে আবারও শিক্ষার্থীরা আরও একটি সাপ দেখতে পায়। ফলে সাপুড়ের শরণাপন্ন হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সাপুড়ে দল এসে কলেজ হোস্টেল এলাকায় বিশেষ কায়দায় অভিযান চালিয়ে দুইটি কালি গোখরা, একটি দারাশ ও একটি গোখরা সাপ ধরে। পরে ফেটে যাওয়া কলেজ হোস্টেলের ফ্লোরের ভেতর থেকে প্রায় ৫০টি সাপের ডিম উদ্ধার করা হয়। সাপুড়ে দল জানায়, ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে সাপের বাচ্চা জন্ম নিত।
সাপুড়ে মোঃ কামাল হোসেন বলেন, বর্ষার সময় উজান থেকে নেমে আসা পানির সঙ্গে এসব সাপ পাহাড় থেকে ভেসে এসে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়। ধৃত সাপগুলোর মধ্যে কালি ফানুস, দাড়াশ ও গোখরা রয়েছে। এসব সাপ বিষধর।
এ বিষয়ে ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আহম্মদ উল্লাহ খন্দকার বলেন, দুইদিন আগে একটি সাপ মেরে ফেলার পর সোমবার আবার সাপ দেখা যাওয়ায় সাপুড়ে দলকে খবর দেয়া হয়। তারা গোখরাসহ ৪টি বিষধর সাপ উদ্ধার ও ৫০টির বেশি সাপের ডিম উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ছাইফুল ইসলাম বলেন, সাপসহ বন্য প্রাণির আবাসস্থল ও খাদ্য সংকটসহ নানা কারণে প্রায় বিপন্ন। নিজেদের রক্ষার্থে আতঙ্কে থাকে এসব বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। ফলে এসব সাপ লোকজনের চলাফেরায় সামনে পড়লে আক্রমণ করতে পারে। লোকালয়ের পাশে উচ্ছিস্ট খাবারসহ ইদুর, ব্যাঙ থাকায় বিভিন্ন ঘরবাড়ি কোনায় ও পরিত্যাক্ত স্থানে সাপগুলো আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, একই দিন সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের রব আলীর বাড়ি থেকে ৩টি সাপ ও দুইটি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়।
বিএনএনিউজ/গোলাম সারোয়ার,আরকেসি