বিএনএ ঢাকা: আগামি জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাদের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকে মানুষ তাদেরকেই ভোট দেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার (৪ অক্টোবর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সে সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সবশেষ যে নির্বাচন হয়েছে তাতে ভোটাররা ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনেক চেষ্টা হয়েছে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বার বার ষড়যন্ত্র করেছে বিএনপি। এরপরেও নির্বাচন হয়েছে। ভোটের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল বলেই উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির দুই মেয়াদের শাসনামলের চিত্র তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, বিএনপির এক নেতা এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী। আরেক নেতা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। দুর্নীতির মামলায় শীর্ষ নেতারা দণ্ডিত হয়ে দলটি এখন নেতৃত্বহীন। জনগণ কীসের আশায়, কোন ভরসায় তাদের ভোট দেবে?’ বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে মানুষের জন্য কিছু করেনি। যার ফলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে সে বিশ্বাস তাদের নেই। যে দলের জন্মই অবৈধ তারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে কি করে?-এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু না। আকাঙ্ক্ষা থাকলে তার তার পিতা যেমন অনেক আগেই মন্ত্রী এমপি হতে পারতেন, তেমনি তিনিও পারতেন। কিন্তু সেটি করেন নি বলে জানান শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধান বলেন, তার সরকার দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ, মোবাইল, ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছে। সবদিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু করোনার কারণে কিছুটা থমকে গেছে। তবে, থেমে না গিয়ে জরুরি সবকিছু যতটা সম্ভব চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না। তাহলে সেটাতে বিএনটি কেনো ভোট পায়নি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠন হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
শেখ হাসিনা জানান, এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রগামী দেশ। এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড পাওয়াই এই স্বীকৃতির প্রমাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের সৃষ্টি। এর সমাধানও মিয়ানমারের হাতে। জাতিসংঘে বিশ্বনেতাদের কাছে তা তুলে ধরার কথাও জানান তিনি।
অধিবেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার বিকাল ৪টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, দলের নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/আরকেসি