বিএনএ ডেস্ক: সম্প্রতি আনসারদের আন্দোলনে ‘ইন্ধনদাতা’ দুই আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আনসার সদস্যরা হলেন মো. সোহাগ মিয়া ও মো. মিজানুর রহমান তুহিন। তারা আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা জেলা পুলিশ আনসার সদস্য মো. সোহাগ মিয়া-কে আজ মঙ্গলবার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার পারমাস্তল গ্রামে।
অপর আনসার সদস্য মো. মিজানুর রহমান তুহিন-কে কক্সবাজার জেলা পুলিশ মঙ্গলবার রামু থানাধীন কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের দুর্গম টিলাপাড়া এলাকার পাহাড়ি জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী গ্রামের বাসিন্দা।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে গত ২৪ আগস্ট দুপুর থেকে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলন করেন আনসার সদস্যরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা বাঁধা উপেক্ষা করেই প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তাঁরা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান নিতে থাকেন। পরে তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তবে এরপরও সচিবালয় থেকে অবরোধ তুলে না নিয়ে সেখানেই অবস্থান নেন আন্দোলনকারী আনসার সদস্যরা। এতে সচিবালয় অবরুদ্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। একপর্যায়ে রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজেদের অবরুদ্ধ হওয়ার কথা জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। অবরুদ্ধ সমন্বয়কদের ছাড়াতে গেলে রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আটক হন আনসার সদস্যরা।
এ ঘটনায় ৭০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি। তবে ঘটনায় পুলিশের কাজে বাঁধার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় ৪ হাজার ১১৪ আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা