বিএনএ ডেস্ক : টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুন ওই নারীর জবানবন্দি নেন।
ভুক্তভোগীর বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বর্তমানে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামতও মিলেছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ঘটনার দিন রাতে ঈগল পরিবহনের বাসে নারায়ণগঞ্জ ফিরছিলেন তিনি। বাসে তার সিট ছিল পেছনের দিকে। রাতে যাত্রীবেশে বাসে ওঠে ডাকাতদল। এর মধ্যে একজন তার পাশেই বসে। ডাকাতরা সবাইকে জিম্মি করে সবকিছু লুট করার পর তাকে ধর্ষণ করে পাঁচ-ছয়জন। এ সময় তিনি বাঁধা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু তার হাত সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেলে তারা। মুখও বাঁধে। এরপর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় ডাকাতরা।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দিনগত রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার পথে এ ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কোচটিতে যাত্রীবেশে উঠে প্রথমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয় ডাকাতদলের সদস্যরা। পরে যাত্রীদের হাত-পা-চোখ বেঁধে মারধর ও সম্পদ লুটপাট চালায়। এসময় বাসে থাকা এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও এরপর রুট পাল্টে রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধুপুরের রক্তিপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় রাস্তার পাশের বালির ঢিবিতে পরিবহনটি উল্টে দিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা
বিএনএ/ ওজি