বিএনএ ডেস্ক: পঞ্জিকায় আজ আষাঢ় মাসের ২০ তারিখ। গত তিন-চার দিন ধরে বর্ষার চিরচেনা রূপ দেখা বিরাজমান। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশি ঝড়ছে বর্ষার অঝোর ধারা। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই) পর্যন্ত বৃষ্টি ঝড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার পর্যন্ত দেশের সব বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে। চলতি মাসের ৮ জুলাই থেকে বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমতে পারে। গতকাল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও হতে পারে ভারি বর্ষণ। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের অন্তত ৫০ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে, ৯৪ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে এটি অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বৃষ্টিপাত। দেশের আরো কয়েকটি জেলায় অতি ভারি বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীতে এ সময় ৩১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদী ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ