বিএনএ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য লেখায় ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাতের অভিযোগের মামলায় স্কুল শিক্ষক দেবব্রত দাসের আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ রায় দিয়েছেন।
একই রায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত শিক্ষক দেবব্রত দাস প্রকাশ দেবু দাস, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুবল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি হাতিয়ার চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের কাব্যতীর্থ বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর সকালে চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একদল লোক মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন দেবব্রত ১৫ অক্টোবর রাত ৯টা ১২ মিনিটে ও ২৮ অক্টোবর রাত ৮টা ৫৯ মিনিটে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া পৃথক দুটি পোস্টে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করে নানা বক্তব্য লিখেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এতে ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয়েছে। এ অভিযোগ পাওয়ার পর দেবব্রতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন তার মোবাইল থেকে ফেসবুক আইডি যাচাই করে অভিযোগের সত্যতা মিলে। এরপর তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন হাতিয়া থানার এসআই হুমায়ুন কবির।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৮ সালের ১০ জুন আসামি দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা। পরবর্তীতে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছয়জনের ও আসামি পক্ষে ২ জন সাফাই সাক্ষ্য শেষে এ রায় দিয়েছেন আদালত।
‘ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতের মামলায় দেবব্রত দাস প্রকাশ দেবু দাস নামের ওই শিক্ষককে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।’- বলেন তিনি।
বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম